চাঁদা দাবি, মসজিদের কাজ বন্ধ করে দিল বিএনপি নেতারা
Published: 12th, July 2025 GMT
বন্দরে দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় একটি মসজিদের বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা মঞ্জু, আরিফ ও মাসুম বাহিনী বিরুদ্ধে ।
ওই সময় বালু ভরাট কাজে নিয়জিত ড্রেজার শ্রমিকদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে উল্লেখিতরা। বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আড্ডা মুসলিমনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
চাঁদা না দিয়ে বালু ভরাট না করতে বিএনপি নেতারা গত ২৯ দিন যাবত নানা হুমকি দমকি অব্যহত রেখেছে বলে মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা খোরশেদ আলম ও এলাকাবাসীর অভিযোগ।
জানাগেছে, উপজেলার মালিভিটা গ্রামের ক্বারী আব্দুল্লাহ নিজ বাড়ির পাশে আড্ডা মুসলিম নগর ব্রহ্মপূত্র নদের তীরে ১৫ শতাংশ জমি রেখে মারা যান তিনি । মৃত্যুর আগে তিনি নিজের জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করতে তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে বলে যায়।
২০২২ সালে তিন ছেলে পিতার নামে ক্বারী আব্দুল্লাহ (রঃ) নামকরণ করে টিনের তৈরি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন । তার পর থেকে মসজিদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মসজিদটি তার নির্ধারিত স্থানে পুননির্মাণের জন্য গত জুন মাসে বালু ভরাট কাজ শুরু করা হয়েছে ।
মসজিদের বালু ভরাটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় বিএনপি নেতা মঞ্জরুল হক ভূঁইয়া মঞ্জু, আরিফ হোসেন, মাসুম পারভেজ নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লাঠি সোটা দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র নিয়ে ড্রেজার শ্রমিকদের উপর হামলা চালায় এবং প্রতি ঘন ফুট বালু থেকে ৪০ পয়সা চাঁদা দাবি করে।
মসজিদ কমিটি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ২৯ দিন যাবত মসজিদের বালু ভরাট কাজ বন্ধ রাখায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মঞ্জরুল হক ভূঁইয়া বলেন, জাঙ্গাল এলাকার সাজা মোল্লার ছেলেরা এসে মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে প্রতি ফুটে ৪০ পয়সা করে দিতে আমি মধ্যস্থতা করে দিয়েছি। মসজিদ কমিটি রাজি না হওয়ায় ভরাট কাজ বন্ধ রয়েছে।
বিএনপি নেতা আরিফ জানান, আওয়ামীলীগের আমলে জেল খেটেছি। এলাকায় কাজ করতে হলে প্রতি ফুটে ৪০ পয়সা করে ব্যবসা না দিয়ে কাজ করতে পারবে না বলেই মোবাইল লাইন কেটে দেন।
ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুল্লাহ আপন জানান, চাঁদার দাবিতে মসজিদের বালু ভরাট কাজ বন্ধ রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তারা গত কয়েক মাসে এলাকায় একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা খোরশেদ আলম বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বিএনপির নেতারা মসজিদের বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও বালু ভরাট না করতে গত ২৯ দিন ধরে প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীদের মহড়া।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: মসজ দ ন র য়ণগঞ জ মসজ দ র ব ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল
মিডফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক শেল্টারে চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা ও খুনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
মশাল মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ, জুলাই অভ্যুত্থানে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীপুর বাজারে শহীদ নাদিমুল হাসান এলেমের বাবা শাহ আলম, জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক নীরব রায়হান, জুলাই যোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আরমান শাফিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের সঞ্চালনায় মুখপাত্র সিনথিয়া জাহিন আয়েশাসহ নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন।
শহীদ নাদিমুল হাসান এলেমের বাবা শাহ আলম বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই কীভাবে আমার ছেলেকে খুনি শেখ হাসিনা হত্যা করেছে। আপনারা কি চান আবার এই ঘটনা ঘটুক? আরেকটা দল এসে এমন করুক। যদি না চান এসব ঘটনার প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাতে চাই- এই নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। এই দশমাসে ১৫৪ জন মারা গেছে। আমরা আর এসব দেখতে চাই না। আমার ছেলে রক্ত দিছে, প্রয়োজনে আমি আবার রক্ত দেব। এগুলো আর করতে দেব না। সারাদেশের মানুষকে বলি, মিডিয়াকে বলি কেউ যাতে আর এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ‘ইন্টেরিম ঘোড়ার ঘাস কাটে কিনা আমরা জানি না। জননিরাপত্তা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, মাঝেমধ্যে মনে হয় এই পুলিশ ইউনূসের নয়, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পুলিশ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলব, জনগণের নিরাপত্তার কাজে সাড়ে ৩২ নাম্বার পেয়ে ফেল করেছেন। আপনারা দেখেন কারা ধর্ষণ, খুন, হামলা করে। এমন ঘটনার পরে আমরা কোনো শুদ্ধি অভিযান দেখতে পাইনি। যদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে অ্যাকশন দেখান। আর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আসসালামু আলাইকুম, আপনি বিদায় নেন।’
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি শুক্রবার ভাইরাল হওয়ার দুইদিন আগে ঘটেছে। কিন্তু মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এগুলো সামনে আনেনি। মনে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদী সময়ে মিডিয়াগুলো হাসিনার কোল থেকে নেমে অন্য কারো কোলে উঠেছে। তাদের প্রচারণায় নেমেছে।