প্যারিসে স্বামীর নামে ‘প্রেম তালা’ লাগিয়ে এলেন মেহজাবীন
Published: 13th, July 2025 GMT
প্যারিসের মন্টমার্ত্রে। জায়গাটি মূলত শিল্প, সঙ্গীত আর প্রেমে মিলেমিশে যেনো একাকার। এখানেই পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা স্যাক্রে-ক্যো গির্জার সামনে প্রতিদিন ভিড় করে শত শত মানুষ। কেউ ছবি তোলে, কেউ প্রার্থনায় মগ্ন, আর কেউ তালা খোঁজে-ভালোবাসার তালা। কারণ স্যাক্রে-ক্যো গির্জার সামনেই রয়েছে লোহার বেষ্টনি।
এখানেই আটকে আছে জংধরা কিংবা নতুন হাজারো রঙিন তালা। এর প্রতিটিতে লেখা কোনো না কোনো নাম-জুটির নাম। সেই তালার ভেতরেই আবদ্ধ থাকে প্রতিশ্রুতি কিংবা দৃঢ় বন্ধন। প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীরা তাদের বন্ধনকে দৃঢ় করার প্রত্যাশায় এই লাগিয়ে সেই চাপি ছুড়ে ফেলেন সাইন নদীতে। দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে এই সংষ্কৃতি বা বিশ্বাস।
সেখানে ঘুরতে গিয়েছেন ঢাকার শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার স্বামী আদনান আল রাজীব। সেখানে গিয়ে মেহজাবীনও নিজদের ভালোবাসাকে তালাবন্দি করে এলেন। এরই কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন নিজের ফেসবুক । ক্যাপশনে লিখেছেন ‘লক’।
মাস খানেক আগে ইউরোপে ঘুরতে গিয়েছিলেন মেহজাবীন। স্বামী আদনান আল রাজীব ‘আলী’ সিনেমা নিয়ে আগেই গিয়েছিলেন ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে। এই উৎসব শেষে করেই মেহজাবীনকে নিয়ে বের হোন ইউরোপ ট্যুরে। তখনই এই ছবি তুলেছেন মেহজাবীন। যে ট্যুরের ছবিগুলো এখন প্রকাশ করছেন তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র অভ ন ত র ম হজ ব ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কলেজ কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত জেলার প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
আজ মানববন্ধনে সুনামগঞ্জের লেখক-গবেষক সুখেন্দু সেন, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক, পঙ্কজ কান্তি দে, মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মুজাহিদুল ইসলাম, সালেহীন চৌধুরী, মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, নাসিম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য কোনো জায়গায় নির্মাণ এবং শহীদ মিনারের ভাঙা অংশ সংস্কারের দাবি জানান। পরে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন বলেন, ‘এটি জেলার প্রথম শহীদ মিনার, ইতিহাসের অংশ। এটি ভাঙা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কথা বলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য জায়গায় নির্মাণ ও শহীদ মিনার যেভাবে ছিল, সেভাবে আবার সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন।’
জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সাবেক ছাত্রনেতারা আমাদের কাছে এসে তাঁদের দাবির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি এখানে নতুন। আমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলীর সঙ্গে দ্রুত কথা বলে সমস্যার সমাধান করব।’
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে ১৯৬৬ সালে এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি সুনামগঞ্জে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার। প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো এই শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে কলেজের ৭৫ বছর পূর্তির একটি স্মারকস্তম্ভ।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর এলাকায় ১৯৪৪ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। সরকারীকরণ করা হয় ১৯৮০ সালে। কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২০ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব হয়। এই উৎসবের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তখন ক্যাম্পাসে একটি স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। মাসখানেক আগে ওই স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোথায় এটি নির্মাণ করা হবে, সেই স্থানটি নির্ধারণ করেছে। স্থান নির্ধারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো ভূমিকা নেই।
আরও পড়ুনসুনামগঞ্জের প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণ, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-প্রতিবাদ৯ ঘণ্টা আগে