মেক্সিকোতে জেন-জি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১২০
Published: 16th, November 2025 GMT
মেক্সিকো সিটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০০ জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।
মেক্সিকোর সিটি পুলিশের বরাত দিয়ে রবিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আরো পড়ুন:
আওয়ামী লীগের নাশকতার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সাতক্ষীরায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকো সিটিতে সহিংস অপরাধ ও প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শনিবার (১৫ নভেম্বর) হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মেক্সিকোর রাজধানীতে মিছিল করেছেন।
শেইনবাউম দাবি করেছেন, অন্যান্য শহরেও অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ মিছিলগুলো সরকারবিরোধী ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা অর্থায়ন করেছেন।
উরুপানের মেয়র কার্লোস মানজোর হত্যাকাণ্ড সহ হাই-প্রোফাইল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেনারেশন জেড (জেন-জি) শনিবার মেক্সিকোর বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেয়।
হাজারো মানুষ স্বাধীনতার প্রতীক ‘অ্যাঞ্জেল অব ইন্ডিপেনডেন্স’ স্মারক থেকে কনস্টিটিউশন স্কয়ার পর্যন্ত মিছিল করে জাতীয় প্রাসাদের সামনে জড়ো হন, যেখানে প্রেসিডেন্টের দপ্তর রয়েছে।
শুরুতে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে ‘ব্ল্যাক ব্লক’ হিসেবে পরিচিত মুখোশধারী একদল বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে পাথর ছোড়ে এবং পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে আঘাত করছেন এবং অপরদিকে একজন পড়ে থাকা বিক্ষোভকারীকে পুলিশ লাথি মারছে।
প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে স্কয়ার খালি করে। মেক্সিকো সিটির নিরাপত্তা প্রধান পাবলো ভাজকেজ সাংবাদিকদের জানান, ডাকাতি এবং হামলা সহ অপরাধের জন্য কর্তৃপক্ষ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা সবাই কার্লোস মানজো’ লেখা ব্যানার উড়িয়েছিল, অন্যরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কাউবয় টুপি পরেছিল।
গত ১ নভেম্বর ডে অব দ্য ডেড উৎসবে যোগ দেওয়ার সময় মানজোকে গুলি করা হয়। তিনি তার শহরে মাদক পাচারকারী দল এবং কার্টেল সহিংসতার বিরুদ্ধে খোলামেলা কথা বলার জন্য পরিচিত ছিলেন।
তিনি দেশকে আতঙ্কিত করে এমন সশস্ত্র কার্টেল সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
শাইনবাউম প্রশাসন কার্টেলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে কিন্তু মাদকের বিরুদ্ধে আরেকটি সর্বাত্মক পদক্ষেপের আহ্বানে সাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিক্ষোভ মিছিলটির কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, অনলাইনে বট দ্বারা বিক্ষোভ প্রচার করা হচ্ছে।
“যদি তরুণদের দাবি থাকে তবে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের স্বাধীনতার সাথে একমত, তবে এখানে সমস্যা হল কে বিক্ষোভ প্রচার করছে।”, তিনি একটি ব্রিফিংয়ে বলেন।
শাইনবাউম আরো বলেন, “মানুষের জানা উচিত যে এই বিক্ষোভ কীভাবে সংগঠিত করা হচ্ছে।”
শাইনবাউম তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরেই ৭০ শতাংশের এর উপরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন এবং ফেন্টানাইল-পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও তিনি এগিয়ে এসেছেন, যা মার্কিন প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিন্তু দেশটিতে চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তিনি সমালোচিত হচ্ছেন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন।
চলতি মাসের শুরুতে পেরুর কংগ্রেস শাইনবাউমকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ বা দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
২০২২ সালের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত পেরুর একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মেক্সিকো সরকার আশ্রয় দেওয়ার পর, পেরু মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কয়েকদিন পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন নবীর বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী
ভারতের রাজধানী দিল্লির লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় গাড়িচালক উমর নবীর জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাড়িটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী আজ শুক্রবার বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার ভোরের মধ্যে সন্দেহভাজন চালক উমরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শেষ করা হয়েছে।
দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত চলার মধ্যে কাশ্মীর, হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের একাধিক সংস্থা তথ্যের সূত্রগুলো মেলাতে কাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের একজন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক এবং একজন ছাত্রসহ আরও দুজনকে উত্তর প্রদেশ থেকে আটক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মোদি সরকার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির সব নথিপত্রের ফরেনসিক নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের দাবি, লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বা কাজ করতেন।
দিল্লি পুলিশ লাল কেলার কাছে বিস্ফোরিত হওয়া গাড়িটির চালক উমর নবীর শেষ কয়েক ঘণ্টার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে। ৫০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করে তাঁর গতিবিধি চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
উত্তর প্রদেশসহ ভারতের বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যে এমনকি কেন্দ্রীয় মোদি সরকার নানা অজুহাতে মুসলিমদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন মুসলিমদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মোদি সরকার।