নোয়াখালীতে মধ্যরাতে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, বিস্ফোরণের শব্দ
Published: 16th, November 2025 GMT
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মধ্যরাতে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উত্তর সোনাপুরের জেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ছাত্রলীগের এ বিক্ষোভের ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের উপজেলা শাখার সদস্য মেহেদী হাসান ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৪–১৫ জন নেতা-কর্মী একটি শাখা সড়ক দিয়ে উত্তর সোনাপুর-মাইজদী মহাসড়কে আসেন। তাঁদের অনেকেই মাস্ক পরেছেন, কেউ গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছেন। কয়েকজনের মুখ খোলা ছিল। তাঁদের একজন সড়কে একটি টায়ার রেখে সেটিতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর তাঁরা সেখানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন। এ সময় কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
পুলিশ জানায়, টায়ার জ্বালিয়ে ও ফটকা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তবে দ্রুত তাঁরা সেখান থেকে সটকে পড়েন। তাই পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। মহাসড়কটিতে এ সময় যান চলাচল কম থাকায় তেমন প্রভাব পড়েনি।
জানতে চাইলে আজ সকালে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২
আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় জেলায় মোট চারটি মামলা দায়ের হলো।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক ও কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, কাশিয়ানী থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ মোট ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৮৫ জনসহ মোট ৩৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ দুই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত অফিসের গাড়িতে ও সদর উপজেলার উলপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।
ঢাকা/বাদল/এস