স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পরীক্ষার ফল ও মৌখিকের তারিখ প্রকাশ
Published: 13th, July 2025 GMT
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও কম্পিউটার অপারেটর পদে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১২ জুলাই ২০২৫) এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর (১৭ জন) পদের মৌখিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই বেলা ১১টা থেকে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট), ১৩/১ শেখ সাহেব বাজার, আজিমপুর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনগণযোগাযোগ অধিদপ্তরে ১৭৭ শূন্য পদে জনবল নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে১২ জুলাই ২০২৫কম্পিউটার অপারেটর (১২ জন) পদের মৌখিক পরীক্ষা ২০ জুলাই বেলা দুইটা থেকে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট), ১৩/১ শেখ সাহেব বাজার, আজিমপুর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনএসএসসি উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, মাসে আড়াই হাজার টাকা, মিলবে ২ বছর৭ ঘণ্টা আগেমৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের অবশ্যই সব শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নাগরিকত্ব, চারিত্রিক ও প্রশিক্ষণ সনদের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে এবং পূরণ করা ফরমসহ সব সনদের এক সেট সত্যায়িত ছায়ালিপি দাখিল করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা/বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সনদও মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রদর্শন করতে হবে।
*ফল দেখুন এখানে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ ক পর ক ষ পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট বোর্ডে ১৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার, কমেছে জিপিএ-৫
সিলেট বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় এবারের পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা গত ১৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী।
সিলেট বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর ২০০৬ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ক্রমেই বেড়েছে। ওই বছর পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এবারই প্রথম সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬০ শতাংশের নিচে নেমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফলাফলে সব সূচকে এগিয়ে আছেন ছাত্রীরা। এবারের পরীক্ষায় ৪১ হাজার ৪০৮ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে ২২ হাজার ১ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২১ জন ছাত্রী।
অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৪৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২৭ হাজার ৭৬৪ জন ছাত্র। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৩ হাজার ৮৭০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৮১ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭৯ জন। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৪৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫৩ জন। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৫০ দশমিক ১৮ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭০ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া, সিলেট বোর্ডের অধীনে এবারের পরীক্ষায় চারটি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেননি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৯ হাজার ১৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৩৫ হাজার ৮৭১ জন; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করোনা মহামারি, বন্যা পরিস্থিতি এবং ছাত্র আন্দোলনের কারণে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়নি। এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা ও ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি কম হওয়াও পাসের হার কম হওয়ার অন্যতম কারণ।
আনোয়ার হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, সিলেট বোর্ডের পাসের হার বৃদ্ধি করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগভিত্তিক যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।