অভিনয়ে সরব না থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে মাঝে মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। গত ২২ জুলাই রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। তার অভিযোগ—নিজের বাড়িতে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তিনি। 

অভিনয়ে যেমন অনুপস্থিত, তেমনি সংসারও বাঁধেননি ৪১ বছরের তনুশ্রী। সর্বশেষ ভিডিওতে কাঁদতে দেখে প্রশ্ন উঠেছে, এখনো কেন অবিবাহিত এই অভিনেত্রী? 

‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তনুশ্রী দত্ত। এ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে আদিত্য দত্তর। একই সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন তনুশ্রী-আদিত্য। তবে এ সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। 

এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এখনো পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন কি না? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি সিঙ্গেল। আদিত্যর টাচে আমি সাত মাসের মতো ছিলাম।”  

বিয়েকে ‘পবিত্র বন্ধন’ বলে মন্তব্য করেন তনুশ্রী। তাহলে এখনো কেন অবিবাহিত? জবাবে তনুশ্রী বলেন, “আমি আমার পরিবার, বন্ধুত্বে কী চাই—সে বিষয় আমি জানি। আমার মাঝে স্বচ্ছতা আছে, তাই আমার মতো মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে অবিবাহিত থাকে, যতক্ষণ না খুব গভীর বা সুনির্দিষ্ট কিছু ঘটে।”

১৯৮৪ সালের ১৯ মার্চ ঝাড়খন্ডের জামশেদপুরের একটি বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তনুশ্রী দত্ত। সেখানকার ডি.

বি. এম. এস. ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেন। পর পুনে ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন। ২০০৪ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। পরে মিস ইউনিভার্সের সেরা দশে জায়গা করে নেন এই অভিনেত্রী।

২০০৫ সালে ‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমার মাধ্যমে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তনুশ্রী দত্ত। এরপর ‘চকোলেট’, ‘ভাগাম ভাগ’, ‘রাকীব’, ‘ঢোল’, ‘গুড বয় ব্যাড বয়’, ‘অ্যাপার্টমেন্ট’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন। দীর্ঘ দিন ধরে সিনেমা থেকে দূরে রয়েছেন তনুশ্রী। ২০১৮ সালে অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে দারুণ আলোচনার জন্ম দেন।

তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ 

জুলাই সনদের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন জুলাই যোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে জড়ো হয়েছেন শতাধিক আন্দোলনকারী। ফলে শাহবাগ মোড়ের উভয়মুখেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, আশপাশের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। 

জুলাই যোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম আপন। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ও শাহবাগ থানার মুখে, এমনকি আশপাশের মোড়গুলোতেও আন্দোলনকারীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

রেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের একাংশ জুড়ে ব্যানার, পোস্টার ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। পাশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। 
আন্দোলনকারীরা ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ (জাতীয় বীর)’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা (বীর)’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের জন্য আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এবং সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করার দাবি রয়েছে।

এর দ্বিতীয় ধারায় বলা হয়েছে, শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ রাষ্ট্রের ‘অবিচ্ছেদ্য কর্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এদের প্রতি অবহেলা বা অধিকার হরণকে রাষ্ট্রদ্রোহ বা বিশেষ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের ভাষ্য, এখনো জুলাই সনদ না হওয়ায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। বারবার এই দাবি জানানো হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

তারা বলছেন, জুলাই সনদ আমাদের দাবি নয়, এটি আমাদের অধিকার। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জুলাই সনদ নিয়ে আশ্বাস পূরণ না হলে শাহবাগে অস্থায়ী মঞ্চ তেরি করে অবস্থান করবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ