Prothomalo:
2025-09-17@23:45:06 GMT

জনগণই জুলাইয়ের ধারক

Published: 26th, July 2025 GMT

আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় দেশ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ছেয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর প্রচণ্ড নির্যাতন-নিপীড়ন চলে। করোনার সময় অনেক মানুষের উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়। করোনার পরে ওই পরিবারগুলো আবার অর্থনৈতিকভাবে আর স্থিতিশীল হতে পারেনি। দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সমাজের ওপর প্রচণ্ড অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হয়। সরকারের প্রতি মানুষের অসন্তোষের কোনো সীমা ছিল না।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে পরপর টানা তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তো কেউ ভোট দিতেই যায়নি। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো আগ্রহই ছিল না। বাক্‌স্বাধীনতার ন্যূনতম জায়গাও সরকার কেড়ে নিয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে দেশে অভ্যুত্থানের একটা পরিবেশ তৈরি হয়েই ছিল।

কোন আকাঙ্ক্ষা

গত বছরের ৫ জুন একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়। তখন আমি ছিলাম একটি ছাত্রসংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিনিধি। ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিনিধি হিসেবে আমি আন্দোলনের তদারক করছিলাম। আমাদের কর্মীরাও অংশগ্রহণ করছিল। আমার দায়িত্ব ছিল মূলত ছাত্র ফেডারেশনের কে কোন দিক থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে, কোথায় কে কথা বলবে, কে কোন বিষয় সামনে আনবে, তা দেখাশোনা করা; আন্দোলনে আমাদের সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ১ জুলাই যখন টানা আন্দোলন শুরু হয়, তখন মেয়েদের অংশগ্রহণ ছিল খুব কম। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

২০১৮ সালে এত বড় একটা আন্দোলনের ছয় বছর পরে এসে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার যখন পরিপত্র বাতিল করে দেয়, আমার মধ্যে তখন প্রচণ্ড অপমানবোধ কাজ করেছিল। ওই অপমানবোধটাই ছিল চালিকা শক্তি। আমিও ভাবতে শুরু করেছিলাম কোন কোন উপায়ে সংগঠিত হওয়া যায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথমে আমরা যুক্ত হয়েছিলাম ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী হিসেবে। কিন্তু ছাত্র ফেডারেশন তো শুধু একটা ছাত্রসংগঠন। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমার হলে মেয়েদের সংগঠিত করা, ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন কলেজে মেয়েদের সংগঠিত করতে সাহায্য করা—এসব কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার মহাসম্মিলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিল্পী, কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ জড়ো হন ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায়। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পোস্টারে বিভিন্ন প্রতিবাদী কথা লিখে আনেন তাঁরা। থেমে থেমে চলে বিক্ষুব্ধ স্লোগান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর