আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় দেশ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ছেয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর প্রচণ্ড নির্যাতন-নিপীড়ন চলে। করোনার সময় অনেক মানুষের উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়। করোনার পরে ওই পরিবারগুলো আবার অর্থনৈতিকভাবে আর স্থিতিশীল হতে পারেনি। দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সমাজের ওপর প্রচণ্ড অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হয়। সরকারের প্রতি মানুষের অসন্তোষের কোনো সীমা ছিল না।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে পরপর টানা তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তো কেউ ভোট দিতেই যায়নি। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো আগ্রহই ছিল না। বাক্স্বাধীনতার ন্যূনতম জায়গাও সরকার কেড়ে নিয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে দেশে অভ্যুত্থানের একটা পরিবেশ তৈরি হয়েই ছিল।
কোন আকাঙ্ক্ষাগত বছরের ৫ জুন একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়। তখন আমি ছিলাম একটি ছাত্রসংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিনিধি। ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিনিধি হিসেবে আমি আন্দোলনের তদারক করছিলাম। আমাদের কর্মীরাও অংশগ্রহণ করছিল। আমার দায়িত্ব ছিল মূলত ছাত্র ফেডারেশনের কে কোন দিক থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে, কোথায় কে কথা বলবে, কে কোন বিষয় সামনে আনবে, তা দেখাশোনা করা; আন্দোলনে আমাদের সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ১ জুলাই যখন টানা আন্দোলন শুরু হয়, তখন মেয়েদের অংশগ্রহণ ছিল খুব কম। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
২০১৮ সালে এত বড় একটা আন্দোলনের ছয় বছর পরে এসে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার যখন পরিপত্র বাতিল করে দেয়, আমার মধ্যে তখন প্রচণ্ড অপমানবোধ কাজ করেছিল। ওই অপমানবোধটাই ছিল চালিকা শক্তি। আমিও ভাবতে শুরু করেছিলাম কোন কোন উপায়ে সংগঠিত হওয়া যায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথমে আমরা যুক্ত হয়েছিলাম ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী হিসেবে। কিন্তু ছাত্র ফেডারেশন তো শুধু একটা ছাত্রসংগঠন। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমার হলে মেয়েদের সংগঠিত করা, ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন কলেজে মেয়েদের সংগঠিত করতে সাহায্য করা—এসব কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার মহাসম্মিলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিল্পী, কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ জড়ো হন ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায়। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পোস্টারে বিভিন্ন প্রতিবাদী কথা লিখে আনেন তাঁরা। থেমে থেমে চলে বিক্ষুব্ধ স্লোগান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভক্তের কাছ থেকে পাওয়া ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কী করেছেন সঞ্জয় দত্ত
বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের জীবনে চমকপ্রদ ঘটনার অভাব নেই। কিন্তু এবার যা ঘটেছে, তা যেন রীতিমতো সিনেমার চিত্রনাট্য! এক ভক্ত তাঁর জন্য রেখে গিয়েছিলেন ৭২ কোটি রুপির (প্রায় ১০০ কোটি টাকা) সম্পত্তি। আর সঞ্জয় দত্ত? অবাক করে দিয়ে সবই ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই ভক্তের পরিবারকে।
সম্প্রতি কার্লি টেলসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত নিশ্চিত করেছেন ২০১৮ সালের সেই বহুল আলোচিত ঘটনার কথা। তিনি বলেন, ‘আমি ওটা ওর পরিবারকে ফেরত দিয়ে দিয়েছি।’ ওই ভক্ত নিশা পাটিল, ছিলেন মুম্বাইয়ের এক গৃহিণী। জানা যায়, মৃত্যুর আগে তিনি নিজের সম্পত্তি সঞ্জয় দত্তের নামে রেখে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্যাংককে। তাঁর মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে।
সে সময় খবরটি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ভারতজুড়ে। একজন তারকার জন্য এমন আবেগঘন সম্পত্তি হস্তান্তর যেমন বিরল, তেমনি সঞ্জয়ের তা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও প্রশংসিত হচ্ছে। বহু বছর পর আবার আলোচনায় উঠে এল এ ঘটনা এবার অভিনেতার নিজ মুখেই।
সঞ্জয় দত্ত