ভিভো ওয়াই সিরিজে নতুন সংযোজন ওয়াই৪০০-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দেশের দ্রুততম মানব ও আন্তর্জাতিক স্বর্ণজয়ী অ্যাথলেট ইমরানুর রহমান।

তরুণদের স্পিড আইকন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বর্ণজয়ী এই অ্যাথলেট এবার সামনে এসেছেন ভিভো ওয়াই৪০০-এর প্রোডাক্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। ইমরানুর রহমান ইংল্যান্ডের শেফিল্ডে জন্ম নেওয়া সিলেটি বংশোদ্ভূত এক প্রতিভাধর অ্যাথলেট। ছোটবেলায় ফুটবল খেলতে পছন্দ করতেন তিনি, তবে বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় শুরু করেন অ্যাথলেটিকস।

২০২১ সালে যুক্ত হন বাংলাদেশের সঙ্গে। ২০২৩ সালের লন্ডনে ১০০ মিটার দৌড়ে ১০.

১১ সেকেন্ডে জাতীয় দলের হয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন। একই বছর কাজাখাস্তানের এশিয়ান ইনডোরে ৬০ মিটার দৌড় শেষ করেন ৬.৫৯ সেকেন্ডে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এশিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম স্বর্ণপদক অর্জন। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন ইমরানুর রহমান। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেন তিনি। বছরের পর বছর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসংখ্য সম্মান অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে স্থান করে নেবার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ভিভো ওয়াই৪০০-এর প্রোডাক্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হয়ে ইমরানুর রহমান বলেন, “ভিভো ওয়াই৪০০-এর প্রোডাক্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ফোনটির শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন কর্মক্ষমতা আমাকে প্রতিটি বাধা অতিক্রম করার অনুপ্রেরণা দেয়।। ট্র্যাকে বা তার বাইরে, প্রতিটি মুহূর্তে যেমন নিখুঁততা ও নির্ভরযোগ্যতা প্রয়োজন, তেমনি অ্যাডভান্সড ফিচার, শক্তিশালী এবং পাওয়ারফুল পারফরম্যান্স জীবনের প্রাণবন্ত মুহূর্তগুলো ধরে রাখার অসাধারণ সক্ষমতা নিয়ে প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জে ওয়াই৪০০ আমার আদর্শ সঙ্গী।”

যার পায়ের গতি সময়কে পেছনে ফেলার সাহস দেখায়, তার হাতের ডিভাইসটিও এমন হওয়া উচিত যা থেমে যাবে না কোনো বাঁধায়। ঠিক যেমন ভিভো নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই৪০০। যা ইমরানুর রহমানের অদম্য সাহস ও অবিচল আত্মবিশ্বাসেরই প্রযুক্তিগত প্রতিফলন।

ঢাকা/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইমর ন র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

খেলার নামে আদম পাচার ঠেকাতে তৎপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ

বিদেশে খেলোয়াড় পাঠানোর নামে মানব পাচারের ঝুঁকি রোধ এবং যোগ্য খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম চালু করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ৯ অক্টোবর এনএসসি এক চিঠিতে ফেডারেশনগুলোকে জানিয়েছে, এখন থেকে বিদেশে ক্রীড়া দল পাঠানোর আগে ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে ফ্লাইটের কমপক্ষে ১০ দিন আগে জিওর (সরকারি আদেশ) জন্য প্রস্তাব পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও পারফরম্যান্স–সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রও এনএসসিকে দিতে হবে।

অভিযোগ আছে, কিছু ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অনেক বছর ধরেই দলের সঙ্গে ভুয়া খেলোয়াড়-কর্মকর্তা পাঠিয়ে আদম পাচার করে আসছে। দুই একটা ঘটনা সামনে এলেও এসবের বেশির ভাগই থেকে যায় আড়ালে। ছোট খেলাগুলো থেকেই এ ধরনের অভিযোগ বেশি আসে। এনএসসির একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত এ ধরনের অপকর্ম ঠেকাতেই বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে ফ্লাইটের অন্তত ১০ দিন আগে জিওর প্রস্তাব পাঠানোর নিয়ম করা হয়েছে। এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) আমিনুল এহসান সরাসরি তা না বললেও তাঁর কথায়ও সে আভাস আছে, ‘আমি বলব না শুধু আদম পাচার রোধ করতে এই নিয়ম করেছি। তবে কোথাও কোথাও এসব খেলার নামে মানব পাচারের প্রশ্ন চলে আসে।’

অনেক সময় শুনি, কোনো কোনো ফেডারেশন ভুয়া খেলোয়াড় নিয়ে যায়। এনএসসির উদ্যোগটাকে তাই ভালোই বলব। এটা জবাবদিহির মধ্যে পড়ে।ফারহাদ জেসমিন, সাবেক অ্যাথলেট ও বিএও অ্যাথলেটস কমিশনের চেয়ারম্যান

এনএসসির কাছে ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশন এত দিন জিওর জন্য খেলোয়াড়দের নামই শুধু পাঠাত। যাঁর নাম দেওয়া হতো, তিনি আসলেই খেলোয়াড় কি না বা খেলোয়াড় হলে তাঁর যোগ্যতা কী বা যোগ্য কাউকে বাদ দিয়ে অযোগ্য কাউকে নেওয়া হচ্ছে কি না, এসব যাচাই–বাছাই করা হতো না। এনএসসি তাই জানত না কিসের ভিত্তিতে একজন খেলোয়াড়কে দলে নির্বাচিত করা হয়েছে। নতুন নিয়মে এনএসসিকে এসব দিতে হবে।

জিওর জন্য আবেদনকারীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে সময় লাগে বলে ১০ দিন আগে তালিকা চাওয়ার যুক্তি আছে। কিন্তু পারফরম্যান্স আর ফিটনেসের তথ্যপ্রমাণও পাঠানোর নিয়মটা একটু অভিনবই, যা নিয়ে অবশ্যই নানা রকম প্রশ্ন তোলা যায়। তবে জিওর জন্য ফ্লাইটের ১০ দিন আগে নাম চাওয়ার নিয়মটাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাথলেটস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক অ্যাথলেট ফারহাদ জেসমিন লিটি বলেছেন, ‘অনেক সময় শুনি, কোনো কোনো ফেডারেশন ভুয়া খেলোয়াড় নিয়ে যায়। এনএসসির উদ্যোগটাকে তাই ভালোই বলব। এটা জবাবদিহির মধ্যে পড়ে।’

আরও পড়ুনবিশ্বকাপের আগে সৌদি লিগে খেলতে চেয়েছিলেন মেসি, সৌদি সরকারের ‘না’১১ ঘণ্টা আগেআদম পাচার যেহেতু সব ফেডারেশন করে না, ক্রিকেট-ফুটবলসহ অনেক ফেডারেশনের জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়দের তথ্য এনএসসিকে দেওয়াটা বিব্রতকর হতে পারে। কারণ, এই ফেডারেশনগুলো একটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দল গড়ে। তাদের সব তথ্য চাওয়া ফেডারেশনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ কি না, এমন প্রশ্ন আসেই।

ক্রীড়াঙ্গনে স্বজনপ্রীতি ঠেকাতেও এ নিয়ম ভূমিকা রাখবে বলে ফারহাদ জেসমিনের আশা, ‘অনেক ফেডারেশন অনেক সময় যোগ্যতার বিচার না করে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড় নিয়ে যায়। দেখে মনে হয়, বিদেশভ্রমণই মুখ্য, পারফরম্যান্স মুখ্য নয়।’ বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ‘এটা ভালো উদ্যোগ। কারণ, এনএসসির জানার অধিকার আছে, বিদেশে টুর্নামেন্টে আমরা কাদের নিয়ে যাচ্ছি।’ সম্প্রতি হকি তারকা রাসেল মাহমুদকে বয়সের অজুহাতে বাদ দেয় হকি ফেডারেশন। এ নিয়ে সমালোচনা হলে এনএসসিকে বিষয়টি তদন্তও করতে হয়।

এনএসসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেট-ফুটবলসহ সব খেলাতেই বিদেশে দল পাঠানোর জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়দের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। কিন্তু আদম পাচার যেহেতু সব ফেডারেশন করে না, ক্রিকেট-ফুটবলসহ অনেক ফেডারেশনের জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়দের তথ্য এনএসসিকে দেওয়াটা বিব্রতকর হতে পারে। কারণ, এই ফেডারেশনগুলো একটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দল গড়ে। তাদের সব তথ্য চাওয়া ফেডারেশনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ কি না, এমন প্রশ্ন আসেই।

আরও পড়ুনআগে চা পরে লাঞ্চ—বদলে যাচ্ছে ক্রিকেটের শতবর্ষ পুরোনো এক রীতি১৫ ঘণ্টা আগে

এনএসসির পরিচালক আমিনুল এহসান অবশ্য তা মনে করেন না, ‘প্রায় প্রতিদিনই এনএসসির কাছে অনেক খেলোয়াড় অভিযোগ করেন, কোনো না কোনো কর্মকর্তার অপছন্দের কারণে নাকি তিনি দল থেকে বাদ পড়েছেন। এ কারণেই খেলোয়াড় নির্বাচনের তথ্যগুলো এনএসসির জানা থাকলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে একটা উত্তর দেওয়া যায়। এটা ফেডারেশনের কাজে হস্তক্ষেপ নয়। স্বচ্ছতার স্বার্থে এনএসসি তা জানতে চাইতে পারে।’

আরও পড়ুনঅনুশীলনে বলের আঘাতে অস্ট্রেলিয়ার ১৭ বছর বয়সী ক্রিকেটারের মৃত্যু২১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যালবামের গল্প বলবে ‘পেনোয়া’
  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী
  • খেলার নামে আদম পাচার ঠেকাতে তৎপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ