চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী ১৫ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্তের ৭৬ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছে শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠক শেষে এই হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

নাজমুল হাসান এবং বিএসএফের পক্ষে ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার সুজিত কুমার নেতৃত্ব দেন। চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের পক্ষে সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

হস্তান্তর করা ১৫ বাংলাদেশির মধ্যে ৯ জন কুড়িগ্রাম, ৫ জন লালমনিরহাট ও একজন গাজীপুরের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৭টি শিশু।

চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে জানান, ওই ব্যক্তিদের ভারতের হরিয়ানা থেকে আটক করে সেখানকার পুলিশ। হরিয়ানা রাজ্যের নারনৌল কারাগারে তিন মাস আটক রাখার পর পুলিশ গতকাল তাঁদের ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করে। বিএসএফ আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা, পরিচয়সহ একটি তালিকা বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। তালিকা ধরে নাম–পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আজ ওই ১৫ বাংলাদেশিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁদের নিজ নিজ ঠিকানায় নিয়ে যেতে আত্মীয়স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।

বিজিবির সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্করা হরিয়ানায় ইটভাটায় কাজ করতেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ