বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “দেশের বিচার ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী ও দৃশ্যমান করতে হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫০-২০০ মামলা হয়েছে, অথচ একটি মামলারও রায় হয়নি। অন্তত দুইটি মামলার রায় হওয়া উচিত ছিল।”

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় র‌্যালি শেষে চন্দ্রগঞ্জে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, “বাংলাদেশে জুলুম-নির্যাতনের স্থান হবে না। খুনের বিচার করতে হবে।” 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

অর্থনীতিকে চাঁঙ্গা করতে দ্রুত নির্বাচন দরকার: আযম খান

তিনি বলেন, “এ দেশের জনগণ বীরের জাতি। তারা অতীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছে।”

এ্যানি বলেন, “আমরা ১৭ বছর রাজপথে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। দেশে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আমরা সেই আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব। এজন্য এখন প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।”

র‌্যালিতে অংশ নেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিুবুর রহমান হাসিব, সদর থানা বিএনরি আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুন।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ রহম ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের উত্তরাখন্ডে আকস্মিক বন্যা, নিহত ৪

ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে মেঘ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, আকস্মিক বন্যায় সড়কের ওপর থাকা মানুষজনসহ সবকিছু ভেসে যাচ্ছে। ভয় ও আতঙ্কে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াচ্ছে।

ভিডিওতে আতঙ্কিত এক ব্যক্তিকে ‘বাপ রে বাপ’ বলতে শোনা যায়। চোখের সামনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তিনি এমন কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে পাহাড়ি গ্রাম ধরালীতে মেঘ বিস্ফোরণের কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ সময় তীব্র স্রোতের কারণে অসংখ্য বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ভেসে গেছে।

গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে ধরালী একটি যাত্রাবিরতি স্থান। সেখানে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং থাকার জায়গা রয়েছে। বন্যায় সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, তীব্র স্রোতের সঙ্গে কাদামাটি ভরা পানি পাহাড় বেয়ে নদীর তীরে থাকা বাড়িঘরের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।

উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘উত্তরকাশীর ধরালী এলাকায় বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্য দলগুলো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সবার নিরাপত্তার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।’

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তরাখন্ডের মাতলি এলাকায় অবস্থানরত ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) ১২তম ব্যাটালিয়নের ১৬ সদস্যের একটি দল ধরালী পৌঁছেছে। একই ব্যাটালিয়নের ইউনিটকে দ্রুত ওই এলাকায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীর তীর থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি শিশু ও গবাদিপশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ