ক্ষোভের মুখে টিএসসিতে শিবিরের প্রদর্শনী থেকে সরানো হল দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি
Published: 5th, August 2025 GMT
বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের ক্ষোভের মুখে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রদর্শনীতে থাকা একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের ছবি সরিয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে এ ছবি সরানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি আয়োজন করে। সেই আয়োজনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভ তৈরি হয়।
এদিকে রাত সাড়ে নয়টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টিএসসিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে বামপন্থী সংগঠন ও শিবির সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ছাত্র শিবিরকে বলি যে ছবিগুলো সরাতে হবে। তারা ছবি সরিয়ে নিতে সম্মতি দেয়। পরে আমাদের সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় ছবিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।’
ছবি সরিয়ে নেওয়ার পর ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এস এম ফরহাদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, তাদের আয়োজনের ফটোফ্রেমগুলোর একটা অংশ নিয়ে কুতর্ক এবং মব সৃষ্টি করা হয়েছে। এই বিষয়ে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। জাতীয় ইতিহাসে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ গৌরবজনক অধ্যায়। বাকশাল কায়েম করে মুক্তিযুদ্ধকে প্রথমবারের মতো প্রশ্নবিদ্ধ করেছে শাহবাগের পূর্বসূরিরা। দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ বানায় এই শাহবাগ। শাহবাগ ও বাকশালের অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান জারি থাকবে।
ছবি সরিয়ে নেওয়ার পরের দৃশ্য.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমার জীবনে যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে সব সময় প্রথম আলো: আইশা
প্রথম আলোর সঙ্গে একই বছর জন্মেছেন অভিনেত্রী আইশা খান। তাই তিনি মনে করেন, তাঁর জীবনে যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে সব সময় প্রথম আলো। শৈশব থেকে আজকের পেশাজীবন—সব পথেই এই সংবাদমাধ্যম তাঁর প্রেরণার জায়গা বলে মনে করেন এ অভিনেত্রী।
আইশা খান