সাবেক স্বামীকে ডেকে এনে মারধর, গ্রেপ্তার ৪
Published: 8th, September 2025 GMT
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সন্তানকে দেখানোর কথা বলে ডেকে এনে সাবেক স্বামী ফরহাদ ইসলাম জয়কে লোক ভাড়া করে মারধর করেছেন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক ইফতি হাসান ইমরান জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার উতসিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী লাইজু বেগম, সাকিল, রাকিবুল ইসলাম ও অলি হাওলাদার।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘‘সাবেক স্বামীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলা নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত চলছে।’’
ভুক্তভোগী স্বামী ফরহাদ ইসলাম জয় জানান, ২০১৬ সালে উতসিতলা এলাকার লাইজুর সঙ্গে তার বিয়ে হলেও দীর্ঘ ছয় বছর স্ত্রী বিদেশে ছিলেন। অনুমতি ছাড়া বিদেশে যাওয়ার কারণে গত ২৫ জুলাই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে লাইজু তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যায় লাইজু মুঠোফোনে আমাকে জানায়, আমার মেয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। সরল বিশ্বাসে আমি উতসিতলায় গেলে লাইজু ও ভাড়াটিয়া কিশোর গ্যাং সদস্যরা আমাকে ঘিরে ফেলে এবং বেদম মারধর শুরু করে। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হলেও হামলাকারীরা আমার মোবাইল ফোন ও নগদ ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’’
এ ঘটনায় জয় বাদী হয়ে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আমতলী থানায় মামলা করেন। এরপর গ্রেপ্তার সাকিলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে লাইজু বেগমসহ আরো তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা/ইমরান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।