Risingbd:
2025-11-03@05:01:28 GMT

কাতারে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬

Published: 10th, September 2025 GMT

কাতারে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬

ইসরায়েলি বিমান হামলায় কাতারের রাজধানী দোহায় এ পর্যন্ত ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জনই ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বাকি যে একজন নিহত হয়েছেন, তিনি কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। হামলার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় ৬ জন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে নিহতের মোট সংখ্যা জানালেও হামাসের নাম উল্লেখ করেনি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলে বন্দুক হামলায় নিহত ৫, আহত ১৫

হামাসকে শেষবারের মতো সতর্ক করলেন ট্রাম্প

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ বিমান হামলা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আল জাজিরা ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এতে লক্ষ্যবস্তু করা হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে। ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ছিল হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করা। হামাস নেতারা তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। ঠিক সেই বৈঠকের ভবনকেই লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে লক্ষ্যবস্তু করা হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম হিমাম আল-হায়া বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। তিনি হামাসের গাজা শাখার নেতা খালিল আল-হায়ার ছেলে। নিহত অপরজনের নাম জিহাদ লাবাদ। তিনি খালিল আল-হায়ার দপ্তরের পরিচালক ছিলেন।

হামাস জানিয়েছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তাদের নেতারা। ওই সময় হামলা হয়। তবে শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ হামলা থেকে বেঁচে গেছেন।

ইসরায়েলি একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে খালিল আল-হায়াও ছিলেন। তিনি হামাসের গাজা প্রধানের পাশপাশি প্রধান আলোচকের দায়িত্বও পালন করছেন।

ইসরায়েলের হামলার পর দোহায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর শহরটির লেগতিফিয়া পেট্রোল স্টেশন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ১৫টি যুদ্ধ বিমান এতে অংশ নেয় এবং হামলার ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১০ মিনিট।

এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘ঘৃণ্য অপরাধ’, ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের অশালীন লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা নিশ্চিত করে বলছি যে শত্রুরা আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ভাইদের এবং আমাদের আলোচনাকারী দলের সদস্যদের হত্যায় ব্যর্থ হয়েছে।”

“আমাদের আলোচনাকারী প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো সাম্প্রতি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যখন আলোচনা করছিলেন, তখন চালানো হয়েছে এ হামলা। এ ঘটনার মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলো যে নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো শান্তি চুক্তিতে তো আসতেই চায় না, উপরন্তু শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত যে কোনো উদ্যোগকে তারা বাধা দিতে বদ্ধ পরিকর।”

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল, তাদেরকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হামলা সম্পূর্ণ ন্যায্য।”

এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে নিন্দা জানিয়েছে কাতার।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল লক ষ য আল হ য়

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির