ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গত ১৫ সেপ্টেম্বরের সহিংসতার ঘটনায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সার্জেন্ট আজাদুর রহমান বাদী হয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে এ মামলা করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

এই মামলার প্রধান আসামি ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোকন মিয়া। দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওলিউর রহমানকে। মামলাটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নথিভুক্ত হয়।

হাইওয়ে পুলিশের করা মামলায় বলা হয়েছে, সহিংসতায় একটি অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের তিনটি গাড়ি, সার্জেন্টদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়। এতে আনুমানিক ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হাইওয়ে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন এক প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর-৪ আসনের অধীন ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে নগরকান্দা ও সালথা যুক্ত করে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে সমন্বয় করে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভাঙ্গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ এতে যোগ দেন। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিস, ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে পুলিশের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

সব মিলিয়ে ভাঙ্গার এ আন্দোলন ঘিরে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা হলো। একটি ১৪ সেপ্টেম্বর, আর দুটি সহিংস ঘটনার পর যথাক্রমে ১৬ ও ১৮ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে ১৪ ও ১৬ সেপ্টেম্বর করা মামলার বাদী ভাঙ্গা থানার পুলিশ এবং ১৮ সেপ্টেম্বর করা মামলার বাদী ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের

প্রতিবছর বাঙালি হিন্দুদের সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অরাজকতা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’ শিরোনামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বক্তব্য দেন। মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশের খাতায় নাম তাঁর রাবেয়া, কারাগারে মর্তুজা
  • সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস ১৯-২২ সেপ্টেম্বর, ঠিক হবে ‘রণকৌশল’
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের