ভাঙ্গায় সহিংসতার ঘটনায় এবার ২১ জনের নামে হাইওয়ে থানায় মামলা
Published: 19th, September 2025 GMT
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গত ১৫ সেপ্টেম্বরের সহিংসতার ঘটনায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সার্জেন্ট আজাদুর রহমান বাদী হয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে এ মামলা করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার প্রধান আসামি ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোকন মিয়া। দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওলিউর রহমানকে। মামলাটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নথিভুক্ত হয়।
হাইওয়ে পুলিশের করা মামলায় বলা হয়েছে, সহিংসতায় একটি অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের তিনটি গাড়ি, সার্জেন্টদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়। এতে আনুমানিক ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হাইওয়ে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন এক প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর-৪ আসনের অধীন ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে নগরকান্দা ও সালথা যুক্ত করে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে সমন্বয় করে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভাঙ্গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ এতে যোগ দেন। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিস, ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে পুলিশের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
সব মিলিয়ে ভাঙ্গার এ আন্দোলন ঘিরে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা হলো। একটি ১৪ সেপ্টেম্বর, আর দুটি সহিংস ঘটনার পর যথাক্রমে ১৬ ও ১৮ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে ১৪ ও ১৬ সেপ্টেম্বর করা মামলার বাদী ভাঙ্গা থানার পুলিশ এবং ১৮ সেপ্টেম্বর করা মামলার বাদী ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার পুলিশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর হ ইওয়
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।
তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’
ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।
দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।