শিশু তায়েবা হত্যার বিচার দাবিতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন
Published: 5th, October 2025 GMT
শরীয়তপুরের সখিপুরে দারুণ নাজাত মাদ্রাসার নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ৬ বছর বয়সী শিশু তায়েবা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী শরীয়তপুর আদালত চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী, আইনজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন হত্যা: মামলা দায়ের
নোয়াখালীতে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা
এ সময় তারা হত্যার ঘটনা উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, শিশু তায়েবার নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পরে প্রতিবেশীর সেপটিট্যাঙ্কে তার মরদেহ মেলে। প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে ঝামেলার কারণে তায়েবাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তাইবা বাবা টিটু সরদা বলেন, “আমার সন্তানের হত্যাকাণ্ডে সবকিছুই এখন স্পষ্ট। সখিপুর থানার ওসি সাহেব বলেছেন, সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে আয়েশা বেগমকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি, এজাহারে আয়েশা বেগমের নামই নেই। এসপি সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গেও ওসির বক্তব্যের কোনো মিল নেই।”
তিনি বলেন, “আমি আমার মেয়ের প্রকৃত হত্যাকারীদের কঠোর ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমি চাই হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসি হোক।”
এ সময় আল আমিন বলেন, “একটি ৬ বছরের শিশু তায়েবার নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে আজ রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে, এর চেয়ে লজ্জাজনক ও দুঃখজনক আর কী হতে পারে? প্রশাসন এতটা উদাসীন ও দুর্বল হয়ে পড়েছে কেন, সেটাই এখন আমাদের বড় প্রশ্ন। যদি তায়েবা হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে তার ছোট ছোট বন্ধু-বান্ধবরা কী শিখবে? তারা কি ভাববে, এই দেশে খুনিদের কোনো বিচার হয় না? তাই আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, অতি দ্রুত তায়েবা হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।”
গত ২৪ সেপ্টেম্বর তায়েবা বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে সখিপুর থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়রি করা হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর অনেক খোঁজাখুজি শেষে পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঢাকা/আকাশ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য হত য র হত য ক
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় নৃশংসভাবে বিড়াল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় মাছ খাওয়ায় একটি বিড়ালকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং পথপ্রাণী, পোষা প্রাণী ও বন্য প্রাণীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে বগুড়ার সাতমাথা মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ—তীর’। এ সময় সংগঠনটির সদস্যরা প্ল্যাকার্ড, পোস্টার হাতে প্রাণী সুরক্ষার দাবি জানান। এ ছাড়া প্রাণী আইন লঙ্ঘন না করার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রচারপত্র বিলি করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে আদমদীঘি উপজেলার দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামে বিড়াল হত্যার অভিযোগ ওঠে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। পরদিন বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমরান হোসেন। পরে পুলিশ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায়। শুক্রবার বুলবুলি বেগমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তীর–এর সভাপতি আশা মনি, সহসভাপতি হৈমন্তী সরকার, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
পুলিশ সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে বুলবুলির বাড়িতে একটি বিড়াল ঢোকে। একপর্যায়ে প্রাণীটি রান্না করা মাছ খেয়ে ফেলে। গত মঙ্গলবার রাতে বিড়ালটি দ্বিতীয় দফায় বুলবুলির ঘরে ঢোকে। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বিড়ালটিকে ধরে বঁটি দিয়ে গলা কেটে ফেলেন। এভাবে হত্যার পর একটি ধানখেতে ফেলে দেন। বিষয়টি জানার পর প্রতিবেশী ইসাহাক আলীর স্ত্রী শামছুন্নাহার বুধবার সকালে বিড়ালটির ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেন। মৃত বিড়ালটি বরফ দিয়ে সংরক্ষণের পর তিনি পুলিশে খবর দেন। বিষয়টি জানাজানির পর বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিড়াল হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত বুলবুলি বেগম উত্তেজিত হয়ে বঁটি হাতে স্থানীয় লোকজনকে লক্ষ্য করে তেড়ে আসেন এবং কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে আটক করে ১৫১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।