টাঙ্গাইলে ছয় দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকারীরা। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতিতে জেলার ১২টি উপজেরার ৪২০ জন স্বাস্থ্য সহকারী অংশ নিয়েছেন। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে টিকাদানসহ নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, তৃতীয় দিনের আন্দোলন সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের ফটকে ব্যানার টাঙিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের স্বাস্থ্য সহকারীরা। 

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ দিন ধরে বন্ধ টিকাসেবা

কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি কাঠামো বাস্তবায়ন, ন্যায্য বেতন স্কেল ও কাজের স্বীকৃতিসহ ছয় দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে তারা কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা.

ফরাজী মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম মঞ্জুকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ য সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউপিডিএফের গোপন আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ  

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার যুবনেশ্বর পাড়া এলাকায় গভীর জঙ্গলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পে‌য়ে‌ছে সেনাবা‌হিনী। সেখান থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) আন্তঃবা‌হিনী সং‌যোগ প‌রিদপ্তর (আইএস‌পিআর) এ তথ‌্য জা‌নি‌য়ে‌ছে। 

আরো পড়ুন:

যৌথ বাহিনীর অভিযান, এক সপ্তাহে আটক ৬৯

কাপ্তাই হ্রদে নৌকাডুবি: সফল উদ্ধার অভিযান সেনাবাহিনীর

আইএস‌পিআর জানিয়ে‌ছে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোর আনুমানিক ৫টায় সেনাবাহিনীর একটি দল ওই আস্তানায় অভিযান চালায়। সেনা সদস‌্যদের উপ‌স্থি‌তি টের পে‌য়ে দলবল নিয়ে পা‌লি‌যে যায় ইউপিডিএফের শীর্ষস্থানীয় গ্রুপ কমান্ডার সুমেন চাকমা। প‌রে তল্লাশি চালিয়ে আস্তানা থেকে ইউপিডিএফ সদস্যদের ব্যবহৃত ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড অ্যামোনিশন, ১৫টি ব্যানার, ২টি ওয়াকিটকি চার্জার, ২টি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্রসহ বেশকিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়ে‌ছে। 

অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ব্যাহত করতে ইউপিডিএফ স্থানীয় নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রীদের সেনাবিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করে। আজকের ঘটনাসহ বিগত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার নারী এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে। 

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যদের সন্ধানে সেনা অভিযান অব্যাহত আছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব‌লেও আইএস‌পিআর জা‌নি‌য়ে‌ছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ