মানিকগঞ্জে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গচ্ছিত স্বর্ণ কব্জায় নিতে ডাকাতির নাটক সাজায় কারিগর ও দোকান মালিক শুভ দাস (৩৫)। ডাকাতি সংগঠিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ ডাকাতি হওয়া ৩৯ ভরি ৭ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। 

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর থানায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোসাম্মৎ ইয়াসমিন খাতুন।

এ ঘটনায় পুলিশ শুভসহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শুভ দাস (৩৫), আমানত হোসেন রানা (২৭), সোহেল মিয়া (২১), শরিফ খান (২২), সবুজ মিয়া (২৭)। উভয়েই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপৌলি এলাকার বাসিন্দা। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, দোকান মালিক শুভ মোটরসাইকেল মেকানিক আমানত হোসেন রানার সাথে মাসখানেক ধরেই তার নিজ দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা করে আসছিল। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে বারোটায় মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণকার পট্টির অভি জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

নাটকীয় এই ঘটনা সত্যতার রূপ দিতে ডাকাত সদস্যদের হাতে দেশীয় অস্ত্রের ছুরিকাঘাতে আহত হন স্বর্ণ কারিগর ও দোকান মালিক শুভ দাস। 

পুলিশ আরো জানায়, স্বর্ণ ডাকাতির এই ঘটনার জন্য পাঁচ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি হয় আমানত হোসেনের সাথে। ডাকাতি সম্পন্ন হওয়ার আগেই তাদের ৪৫ হাজার টাকা প্রদান করে শুভ দাস। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতের নাটকীয়তা স্বীকার করেন তারা। 

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের নামে নিয়মিত মামলা করবে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার ও আসামিদের আদালতে প্রেরণ করবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ।

ঢাকা/চন্দন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ স বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দিকে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি ছাইফ উদ্দিন স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিনটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন। 

সোমবার দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাতিয়া আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাৎক্ষণিক তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ করে। এসময় যৌথ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 

একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। 

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।”

ঢাকা/সুজন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ