সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ডরসেট কাউন্টির একটি স্কুল তাদের ইংরেজি সাহিত্যের পাঠ্যক্রম থেকে মার্কিন লেখক অ্যাঞ্জি থমাসের বিখ্যাত উপন্যাস দ্য হেইট ইউ গিভ বাদ দিয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি, বইটির কিছু অংশে বর্ণবৈষম্য ও পুলিশি নির্যাতনের বিষয় এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা ‘কিছু শিক্ষার্থীর জন্য মানসিকভাবে অস্বস্তিকর’ হতে পারে।

কিন্তু লেখক অ্যাঞ্জি থমাস ও মানবাধিকারকর্মীরা এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মতে, এই বই তরুণদের বাস্তব সামাজিক বৈষম্য ও প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের বিষয়ে সচেতন করে তুলতে পারে। থমাস বলেন, যে বই তরুণদের সত্য জানায়, সেটিই সবচেয়ে বেশি ভয় জাগায়।

সমালোচকেরা বলছেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নানা স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিমাণ বই নিষিদ্ধ বা সরানো হচ্ছে, তা একধরনের নীরব সেন্সরশিপের পরিবেশ তৈরি করছে। তাঁরা এ-ও বলেন, বিশেষ করে যেসব বই বেশি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে, যেগুলো কৃষ্ণাঙ্গ, মুসলিম বা অভিবাসী চরিত্রকে কেন্দ্র করে লেখা।

পাঠ্যক্রম থেকে এমন বই বাদ দেওয়ার ঘটনা শুধু সাহিত্যের বৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না; বরং জিজ্ঞাসু পাঠকের বাস্তবতাবোধ ও সহনশীলতাকেও সংকুচিত করছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাটহাজারীতে বিএনপি কর্মীকে হত্যা: গাড়িতে ২২টি গুলি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বিএনপি কর্মী আবদুল হাকিমের গাড়িতে ২২টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাড়ে আট লাখ টাকা উদ্ধার করেছে এবং চার সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। পুলিশের ধারণা, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মদুনাঘাট বাজারে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ