রেড ক্রিসেন্টে তথ্যবিশেষজ্ঞ নিয়োগ, বেতন ৯০ হাজার টাকা
Published: 12th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) ‘তথ্যবিশেষজ্ঞ’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। কক্সবাজারের ফিল্ড হাসপাতাল এলাকায় এই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশের সবচেয়ে বড় মানবিক সংগঠন বিডিআরসিএস ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে মানবিক সহায়তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে সংস্থাটি জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অংশীদার সংস্থার সহযোগিতায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও মানসিক সহায়তা প্রকল্প পরিচালনা করছে।
এই প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত তথ্যবিশেষজ্ঞ এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স সেন্টারের (ইপিআরসি) অধীনে মহামারি-সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ, প্রতিবেদন প্রস্তুত এবং জনস্বাস্থ্য বার্তা প্রচারের দায়িত্বে থাকবেন।
আরও পড়ুনএআই বাড়াচ্ছে কাজের চাপ, চীনের ‘৯৯৬’ সংস্কৃতি কি ফিরছে৭ ঘণ্টা আগেপ্রার্থীর তথ্য ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য বা যোগাযোগ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তথ্য ব্যবস্থাপনা বা জনস্বাস্থ্য যোগাযোগে অন্তত ৪ থেকে ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন এ সপ্তাহে (৩ থেকে ৯ অক্টোবর) দেখে নিন সেরা ১০ সরকারি চাকরি১০ অক্টোবর ২০২৫চুক্তিভিত্তিক এই পদে মাসিক বেতন ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে, কর্মদক্ষতা ও অর্থের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। যোগ্য প্রার্থীদের দ্রুত আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
একনজরেসংস্থা: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
পদ: তথ্যবিশেষজ্ঞ
কর্মস্থল: ফিল্ড হাসপাতাল, কক্সবাজার
বেতন: ৮৫,০০০-৯০,০০০ টাকা
চুক্তির মেয়াদ: প্রাথমিকভাবে এক বছর (নবায়নযোগ্য)
বয়সসীমা: ৪০ বছর
শিক্ষাগত যোগ্যতা: তথ্য ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য বা যোগাযোগ বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর
অভিজ্ঞতা: ৪-৬ বছর
আবেদন: https://hotjobs.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জনস ব স থ য
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পদ ও সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা
জীবনের এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়া, পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকা বা জীবনে বরকতের অভাব—এসব চাপে মানুষের মন ভারী হয়ে ওঠে। ইসলামে এমন সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমন একটি দোয়া মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সেবক আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর জন্য করেছিলেন। এই দোয়া শুধু ধন-সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি চায় না, বরং সবকিছুতে আল্লাহর বরকত কামনা করে।
দোয়ার উৎস ও প্রেক্ষাপটহাদিসে বর্ণিত, আনাস (রা.)-এর মা উম্মে সুলাইম নবীজিকে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই সেবক আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ তখন নবীজি (সা.) দোয়া করেন: ‘আল্লাহুম্মা আকসির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বারিক লাহু ফীমা আ'তাইতাহু।’
এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং পৌত্রাদি মিলিয়ে তিনি ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।আরও পড়ুনতাকওয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ৩০ জুন ২০২৫অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তার ধন-সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও এবং তুমি যা দান করেছ, তাতে তার জন্য বরকত দান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৪৪)
আনাস (রা.) তখন মাত্র দশ বছরের একটি ছেলে, যিনি নবী (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর তিনি পৌত্রাদি মিলিয়ে ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন (সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত)। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।
দোয়ার উদ্দেশ্য শুধু ধন নয়, বরকতএই দোয়ার সৌন্দর্য এতে যে এটি ধন-সম্পদের পাশাপাশি বরকতের জন্য প্রার্থনা করে। ইসলামে ধনকে শুধু সঞ্চয় নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯)
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯আধুনিক জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা বা পরিবারের চাপে অনেকে কষ্ট পান। কিন্তু এই দোয়া স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সমৃদ্ধি আল্লাহর রহমতে। সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই—সন্তান লাভের সঙ্গে তাদের সুস্থতা, শান্তি ও ইমানের বরকত চাওয়া জরুরি।
আজকের দিনে, যখন পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে এবং অর্থের চাপ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুশীলন (যেমন দোয়া) মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ায়। ইসলামি ঐতিহ্যে এই দোয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবারের জন্যও ব্যবহার করা যায়।
দোয়ার সঙ্গে সদকা দেওয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং হালাল উপার্জনের চেষ্টা করুন—এগুলো বরকতের দরজা খোলে।
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫