প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ ঘোষণা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২
Published: 13th, October 2025 GMT
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের আলোর চরে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জনকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে আলোর চর সংলগ্ন দুধকুমার নদীর তীরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
আরো পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ
ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার ও যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, দুর্গম এলাকা হওয়ায় পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সংঘর্ষ থেমে যায়। থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি।
স্থানীয়রা জানান, প্রজনন মৌসুমের কারণে নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ কারণে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের আলোর চর ও পার্শ্ববর্তী যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাণিয়াপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবীরা যৌথভাবে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। মৎসজীবীরা তাদের মাছ ধরা ছোট ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
রবিবার বিকেলে দুধকুমার নদীতে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় খেলা দেখতে আসা দর্শনার্থীরাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। অন্তত ১২ জন আহত হন। চার জনকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত ক ড় গ র ম সদর র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার, অনাবাসিক ৫ ছাত্রকে হল ত্যাগের নির্দেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচন সামনে রেখে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে।
এদিকে রাতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়-২৪ এবং মতিহার হলে যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রশাসন। এ সময় দুই হলে মোট পাঁচজন অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তাঁদের আজ সোমবারের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় হল প্রশাসন।
আরও পড়ুনরাকসু নির্বাচনে তিনটি সম্পাদক পদে জোর লড়াইয়ের আভাস১১ অক্টোবর ২০২৫আবাসিক হলে পুলিশ দিয়ে তল্লাশি চালানোর সমালোচনা করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে পুলিশের কাজ কী? যদি পুলিশের কাজ থাকে তাহলে হল প্রভোস্টের কাজ কী? যেভাবে তল্লাশি হচ্ছে, মনে হয় হলগুলোতে শিক্ষার্থী থাকেন না, সন্ত্রাসী থাকে। কী গুরুতর অসম্মানজনক বিষয়! পুলিশকে হলে ঢুকিয়ে নর্মালাইজ করার চেষ্টা বিশেষ ভালো লক্ষণ না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। হলের নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রভোস্টের, সে জন্যই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হইছে। দুই দিন পরপর হলে চুরি হয়, যা ঠেকানোর ন্যূনতম মুরোদ তাঁদের নাই। এখন পুলিশগিরি দেখাচ্ছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান গতকাল মধ্যরাতে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে দুটি হলে যৌথ তল্লাশি চালানো হয়েছে। মতিহার হলে অভিযান চালিয়ে তিনজন এবং বিজয়-২৪ হলে দুজন অনাবাসিক শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে। তাঁরা সবাই সংশ্লিষ্ট হলেরই ছাত্র। তবু আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, আগামীকালের (আজ) মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা খুবই দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন। আগের অবস্থা থেকে এখন হল অনেক ভালো আছে।
আরও পড়ুনরাকসু নির্বাচন: কয়েকটি প্যানেলের ‘আকাশকুসুম’ ইশতেহার০৯ অক্টোবর ২০২৫এদিকে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচন ঘিরে গতকাল রাত থেকে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অন্তত ৩০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ফটকগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নির্বাচনের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ভোট গ্রহণের দিন ২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদাপোশাক ও ইউনিফর্ম মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য ক্যাম্পাসে মোতায়েন থাকবেন। এ ছাড়া অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে।