বাগেরহাটের পচাদিঘী থেকে সুমন্ত বিশ্বাস (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়া সুমন্ত জেলার চিতলমারি উপজেলার বাবুগঞ্জ গ্রামের মৃত সতীশচন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। সুমন্ত বাগেরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এলজিইডির মোড় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আরো পড়ুন:
বরিশালে আ.
নাটোরে হোটেল থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
বাগেরহাট সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদ উল হাসান জানান, বাগরহাট সদরের বাদেকারাপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন সুমন্ত। সোমবার দুপুরে খাবার খেত বের হয়ে আর ফিরেননি তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও তার সন্ধান পাননি এলাকাবাসী। আজ সকালে পচাদিঘীতে মরাদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি জানান, সুমন্তের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র ব গ রহ ট স মন ত
এছাড়াও পড়ুন:
জয়পুরহাটে বীজ আলু বিক্রিতে প্রতারণা, ৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সাধারণ আলু বস্তাজাত করে বীজ আলু হিসেবে বিক্রির অভিযোগে সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার কলেজ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা খানম। এ সময় তাঁদের প্রত্যেককেই এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলেন জহুরুল ইসলাম, ফরমাজুল ইসলাম, বিশ্বনাথ সাহা, কামাল হোসেন, তুহিন হোসেন, বেলাল হোসেন ও রুস্তম হোসেন। পরে এসব আলু খাওয়ার আলু হিসেবে বিক্রির নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কলেজ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ আলু বস্তাজাত করে বীজ আলু হিসেবে বিক্রি করছিলেন। এসব আলু কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হচ্ছিলেন। এবারের মৌসুমে বীজ আলু বলে এসব আলু বেচাকেনা হচ্ছে—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন ও আক্কেলপুর থানার পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। এসব ব্যবসায়ীকে সাধারণ আলুকে বীজ আলু হিসেবে বিক্রি না করতে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা খানম সাংবাদিকদের বলেন, একই অনিয়ম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গুদামে গিয়ে আলুর মোড়কজাত বস্তা কেটে দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন কলেজ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাজী শফি উদ্দিন। গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ডেকে কাটা বস্তাগুলো দেখান তিনি। এ সময় কাজী শফি উদ্দিন বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় আমি গুদামে ছিলাম না। আমার গুদামে কোনো খাওয়ার উপযোগী আলু নেই, আছে বীজ আলু। যদি খারাপ বীজ আলু হতো, তাহলে সেগুলো জব্দ করতে পারতেন। কিন্তু আমার গুদামের বীজ আলুর বস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, কেউ যাতে খাওয়ার আলু বীজ আলু হিসেবে বিক্রি করতে না পারেন, সেই কারণে বস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে।