শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে গিয়ে জেলেদের হামলার মুখে পড়েছেন ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। পরে কৌশলে সেখান থেকে চলে আসতে সক্ষম হন তারা। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার আলাউলপুর ইউনিয়নের চর জালালপুর এলাকার মেঘনা নদীর শাখা নদী মোস্তফা ঢালির খালের প্রবেশ মুখে এ ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, মা ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেশ কয়েকদিন ধরে চর জালালপুর এলাকায় কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করে তা বিক্রি করে আসছে। 

মঙ্গলবার সকালে মাছ বিক্রি চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালান ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম ও গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম নিরব। এসময় ব্যবসায়ীরা ট্রলারে মাছ নিয়ে মেঘনা নদীর শাখা নদী মোস্তফা ঢালির খালে প্রবেশ করে মাছ সরিয়ে ফেলে। পরে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ ট্রলারটি জব্দ করে নিয়ে আসার সময় তাদের উপর হামলার চেষ্টা চালায় ব্যবসায়ীরা। 

পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৌশলে সেখান থেকে চলে আসেন।

এ ব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম নিরব বলেন, “নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনার মাছ শিকার শেষে চর জালালপুর এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিক্রি করর আসছিল। খবর পেয়ে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। তবে তারা টের পেয়ে মাছ সরিয়ে ফেলে। তখন আমরা ট্রলার জব্দ শেষে চলে আসার সময় হঠাৎ বেশকিছু লোক আমাদের উপর চড়াও হয়ে হামলার চেষ্টা করে। তবে আমরা কৌশলে ট্রলার নিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। আমাদের এ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করব।”

ঢাকা/আকাশ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ স ইরহ ট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সন্তান কোলে নিয়ে কারাগারে বিয়ে 

ভালোবেসে গোপনে আকলিমাকে (২২) বিয়ে করেন একই বাড়ির মো. হাসনাত (২১)। সম্পর্কে তারা মামাত-ফুফাত ভাই-বোন। কিন্তু, এ সময় কোনো কাবিননামা হয়নি তাদের। এ বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যেই তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক সন্তান। উভয় পরিরবারের বিরোধ শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়। আদালতের নির্দেশে স্বামী মো. হাসনাতকে কারাগারে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত কারাগারে আছেন তিনি।

পরে উভয় পরিবারের দ্বন্দ্ব মিটে যায়। গত ১৩ অক্টোবর (রবিবার) আদালতের নির্দেশে চাঁদপুর জেলা কারাগারে মো. হাসনাত ও আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে এবং কাবিননামা সম্পন্ন হয়।

হাজীগঞ্জের দ্বাদশ গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে মো. হাসনাত এবং একই বাড়ির মো. মাসুদের মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী আকলিমা। 

দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে আকলিমার বাবা ২০২৪ সালের ২৪ জুন চাঁদপুর আদালেত মামলা করেন। এর দুই দিন পর ২৬ জুন হাসনাতকে কারাগারে পাঠান আদালত। 

জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের আদেশে রবিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা কারাগারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ও জেলা সমাজসেবা বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে হাসনাত ও আকলিমার বিয়ে ও কাবিননামা সম্পন্ন হয়। এ সময় বর ও কনের বাবা, উভয় পক্ষের নিকটাত্মীয়সহ স্থানীয় মুরুব্বি আবুল বাশার মিজি উপস্থিত ছিলেন। বিয়ে ও কাবিননামায় স্বাক্ষরকালে বর ও কনেকে উৎফুল্ল দেখা যায় বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। আকলিমার কোলে ছিল তার সন্তান।

বিয়েতে উপস্থিত বর এবং কনেপক্ষের স্বজনদেরকে কারা কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করানো হয় বলে জানিয়েছেন জেলার মো. জুবাইর। 

তিনি আরো জানান, বিয়ের পর দ্রুত বর মো. হাসনাতের জামিন ও মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছেন উভয় পরিবারের সদস্যরা।

ঢাকা/জয়/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ