স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় প্রতিবেশীর যাবজ্জীবন
Published: 14th, October 2025 GMT
পঞ্চগড়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভাতের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার প্রতিবেশী চাচা নজরুল ইসলামকে (৫৩) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ পারভেজ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। নজরুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ওই শিশুটি অভাবের মধ্যে বেড়ে উঠছিলেন। বাবা মারা যাওয়ায় তার এক চাচা তার মাকে বিয়ে করেন। অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটত শিশুটির। ২০২২ সালের ১৫ মার্চ ওই শিশুকে ভাত খাওয়ানোর কথা বলে রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী চাচা নজরুল ইসলাম। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করা হয় তাকে। এ সময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হলে তার হাতে ৫০০ টাকার একটি নোট গুঁজে দেয় নজরুল। বিষয়টি কাউকে জানালে ছুরি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এভাবে ভয় দেখিয়ে এক মাস ধরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে নজরুল। একপর্যায়ে শিশুটি ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে শিশুটির মা তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে সব ঘটনা খুলে বলে সে। বিষয়টি জানাজানি হলে নজরুল ইসলামের ছেলে হামিদার রহমান ১ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা ও জোর করে স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও সমঝোতার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ন্যায়বিচারের আশায় আদালতে নজরুল ও তার ছেলে হামিদারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার আদালত রায় ঘোষণা করেন। তবে, রায়ে নজরুলের ছেলে হামিদারকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জাকির হোসেন বলেছেন, আমরা ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আদালত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা এবং বাদী সন্তুষ্ট।
ঢাকা/নাঈম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নজর ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে বিকাশ (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিকাশ সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার বড়গাও গ্রামের বারীন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে রামারবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল বর্গাচাষির
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুরে বিকাশের মামাতো বোন ও তার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। একই বাড়িতে পাশাপাশি ভাড়া থাকার সুবাদে ঝগড়ার বিষয়টি শুনতে পেয়ে বিকাশ বোনের ঘরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে জানালার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিকাশ। পরে তাকে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেহানুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিকাশ তার মামাতো বোন ও বোনের স্বামীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে জানালার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যান। খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মামাতো বোন শিল্পীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব