সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে স্রেফ উড়ে গেল। আফগানিস্তান হ‌্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের পর প্রথমবার বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করলো। প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ কোনো লড়াই করতে পারেনি। শেষটাতে মুখ রক্ষাও হয়নি।

আফগানিস্তান জয় পেয়েছে ২০০ রানের বিশাল ব‌্যবধানে। যা ওয়ানডেতে তাদের রানের ব‌্যবধান হিসেবে দ্বিতীয় বড় হয়। দুইশ বা তার বেশি রানের হিসেবে এটিই তাদের দ্বিতীয় জয়। 

আবুধাবিতে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তান ৯ উইকেটে ২৯৩ রান করে। জবাব দিতে নেমে চরম ব‌্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ৯৩ রানে অল আউট বাংলাদেশ। 

বিস্তারিত আসছে .

..


 

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোয়াইটওয়াশ

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রোদ, গ্যালারি ভর্তি দর্শক, আর ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। নেতৃত্বে শুভমান গিল আর তার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ৭ উইকেটের জয় দিয়ে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের দখলে নিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া।

এই জয়ের মধ্য দিয়ে ভারতের তরুণ অধিনায়ক শুভমান গিল আরও একবার প্রমাণ করলেন তার কাঁধেই ভরসা রাখলে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত।

আরো পড়ুন:

ভারতের ৩ কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

তামান্নাকে নিয়ে আন্নু কাপুরের ‘অশ্লীল’ মন্তব্য

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন গিল। আর সেই সিদ্ধান্তের যথার্থ প্রমাণ দেন যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমান গিল নিজেই। জয়সওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ঝলমলে ১৭৫ রান, অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক গিল থাকেন অপরাজিত ১২৯ রানে। তাদের দুজনের ইনিংসেই ভারত তোলে পাহাড়সম ৫১৮ রান ৫ উইকেটে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে স্পিনার জোমেল ওয়ারিকন তিনটি উইকেট নিলেও ভারতের ব্যাটিং ঝড় থামাতে পারেননি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ভারতের বোলাররা শুরু থেকেই আগুন ঝরান। মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব মিলে ২৪৮ রানে গুটিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে কেউই থিতু হতে পারেননি। ভারতের দাপুটে বোলিংয়ে যেন একের পর এক তাসের ঘর ভেঙে পড়ছিল তাদের ইনিংস।

তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নাটকীয়ভাবে বদলে যায় চিত্র। ফলো-অন করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ হঠাৎ যেন রূপ নেয় ভিন্ন দলে। ওপেনার জন ক্যাম্পবেল খেলেন ১৯৯ বলে ১১৫ রানের অনবদ্য ইনিংস, সঙ্গী শাই হোপও হাঁকান ১০৩ রান। তাদের জুটিতে ম্যাচ টেনে নিয়ে যায় পঞ্চম দিনে।

জাস্টিন গ্রিভসের অপরাজিত ৫০ রানে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবিয়ানরা তোলে ৩৯০ রান। যা ভারতের সামনে রাখে ১২১ রানের ছোট লক্ষ্য।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। যশস্বী জয়সওয়াল দ্রুত আউট হন মাত্র ৮ রানে। এরপর সাই সুদর্শন ও কেএল রাহুল জুটি গড়ে খেলার লাগাম টেনে ধরেন। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৭৯ রান।

সুদর্শন ফেরেন ৩৯ রানে, আর গিলও থামেন ১৩ রানে। তবে শেষ পর্যন্ত ধ্রুব জুরেল ও রাহুলের ব্যাটে অনায়াসে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। রাহুল অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে, জুরেল খেলেন ঝলমলে ৩১ রানের ইনিংস।

৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন কুলদীপ যাদব। আর ১০৪ রান ও ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন রবীন্দ্র জাদেজা।

এই সিরিজ জয় শুধু সংখ্যার নয়, প্রতীকও বটে। কোহলি-রোহিতের পর ভারতীয় ক্রিকেটে নেতৃত্বের নতুন মুখ হিসেবে শুভমান গিল নিজের প্রথম বড় দায়িত্বে সফলভাবে পাশ করলেন। তার নেতৃত্বে দল যেমন স্থির, তেমনি আক্রমণাত্মকও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫১৮/৫ (ডিক্লে.) ও ১২২/৩।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪৮/১০ ও ৩৯০/১০।
ফল: ভারত জয়ী ৭ উইকেটে।
সিরিজ: ভারত ২-০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৪ রান
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোয়াইটওয়াশ
  • আজ অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই