অ্যানথ্রাক্স ঝুঁকি: ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জব
Published: 15th, October 2025 GMT
রংপুর ও গাইবান্ধা অঞ্চলে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগের প্রাদুর্ভাব। গবাদিপশুর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগ ও শঙ্কা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই আছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না তারা। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
মাংস ক্রেতারা জানান, আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের। তবে, তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
আরো পড়ুন:
হাত-পায়ের ব্যথা কমাতে পাঁচটি নিয়ম মেনে চলুন
টকদইয়ের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে হিতে বিপরীত
ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। জবাই করার আগে প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। এই দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও নিয়ম মানা হচ্ছে না। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে বাড়ছে সংক্রামকজনিত রোগবালাই।
মাংসের ক্রেতা সদর উপজেলার আবদুস সালাম বলেন, “পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।”
নলছিটি উপজেলার এইচ এম সিজার বলেন, “রংপুর ও গাইবান্ধায় সম্প্রতি অ্যানথ্রাক্স রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত প্রাণী বা তাদের দেহবস্তুর সংস্পর্শে এলেই ছড়ায় যা মানুষকে সংক্রমিত করে। আমাদের এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাংস বিক্রেতারা পশু জবাই করেন। পশুটি সুস্থ আছে কিনা সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। যেখানে পশু জবাই হয় সেখানে কখনো কোনো পশু চিকিৎসককে দেখিনি।”
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, ৫ আগস্টের আগে নিয়মিত পশু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতো। এখন আর তা করা হয় না, প্রশাসনের কেউ থাকেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এরপর থেকে যাতে তদারকি করেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, এ বিষয়টিতে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ য পর ক ষ ঝ লক ঠ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় মদপানে আরো একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৫
বগুড়ার শাজাহানপুরে বিষাক্ত মদপান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো একজন মারা গেছেন। রবিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি। এ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হলো।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম তার নাম রঞ্জু মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ২ দিনে ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু
গত ২ অক্টোবর রাতে মদপান করে অসুস্থ হন রঞ্জু মিয়াসহ পাঁচজন। তাদের মধ্যে গত ৭ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমান মণ্ডল লিটন মারা যান। ৯ অক্টোবর রাতে নাছিদুল ইসলাম ও ১০ অক্টোবর দুপুরে আবদুল মানিক আকন্দ মারা যান। একই দিন বিকেলে আবদুল্লাহ আল কাফী মারা যান। তারা খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় উপজেলার বেজোড়া মধ্যপাড়া সনাতন ধর্মশালা পূজামণ্ডপের পাশে পাঁচজন একসঙ্গে মদ পান করেন। পরদিন সকাল থেকেই তাদের বমি ও পেটব্যথা শুরু হয়। পরে অসুস্থ প্রত্যেককে তাদের স্বজনরা বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম পলাশ বলেন, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ