ঢাকার কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে তাসলিমা আক্তার (৪২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পলাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে বংশাল থানাধীন নবাবপুর রোড এলাকা থেকে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, তাসলিমা, নজরুল দম্পতির ১৭ ও ১৪ বছর বয়সী দুই মেয়ে রয়েছে। রবিবার রাতে দুই মেয়ে আলাদা ঘরে ঘুমিয়েছিল। সকালে উঠে নজরুল ইসলাম দুই মেয়েকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন, “তোমাদের মা আরেকজনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে বাড়ি ছেড়েছেন।” এরপর তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে তাদের ফুফুর বাসায় রেখে আসেন। পরে মেয়েরা মাকে ফোনে পায় না, বাবাকেও পায় না। এ নিয়ে সন্দেহ হলে তারা মামাদের বিষয়টি জানায়। 

পরে নিহতের ছোট ভাই নাঈম হোসেন ও নিহতের দুই মেয়ে ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ফ্রিজের ওপর থেকে মাছ-মাংস সরালে চাদর দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ফ্রিজের ভেতর থেকে তাসলিমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের উপস্থিতিতে ও সিআইডির ক্রাইম সিন টিমের সহায়তায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে ওই রাতেই নিহতের ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় নজরুল ইসলামের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাসার ওয়ারড্রোব থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল জানান, স্ত্রী তাসলিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার দাম্পত্য কলহ চলছিল। পরকীয়ার সন্দেহ ও সম্পত্তি হারানোর আশঙ্কায় তিনি তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ ঘটনার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। 

লাশ উদ্ধারের পর তাসলিমা আক্তারের বড় মেয়ে বলেন, “বাবা আম্মুকে সন্দেহ করতেন। ভাবতেন তার অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিল এবং খারাপ কাজ করে টাকা উপার্জন করতো। কিন্তু আমার মা তেমন বাইরেই যেতেন না। আমার বাবা নেশা করতো। অধিকাংশ সময় বাইরে থেকে নেশা করে ঘরে ফিরত, কখনও কখনও বাসায় এসেও নেশা করতো। বাবাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাকে হত্যা করেছে। আমরা চাই, বাবার ফাঁসি হোক।”

ঢাকা/এমআর/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার 

ঢাকার কলাবাগান এলাকায় একটি বাসার ডিপ ফ্রিজ থেকে তাসলিমা আক্তার (৪২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন তার স্বামী নজরুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. ফজলে আশিক রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের স্বামী নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে।”

এ ঘটনায় তাসলিমা আক্তারের এক স্বজন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে সোমবার রাতে কলাবাগান ফার্স্ট লেনের একটি ভবন থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে তালা ভেঙে ডিপ ফ্রিজে মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। 

পুলিশ আরো জানায়, মাথায় ভারী বা ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা করা হয়েছে। ফলে মাথার হাড় ভেঙে খুলি বের হয়ে গেছে। 

তাসলিমা আক্তারের মেয়ে বলেন, “বাবা আম্মুকে সন্দেহ করতেন। ভাবতেন তার অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিল এবং খারাপ কাজ করে টাকা উপার্জন করতো। কিন্তু আমার মা তেমন বাইরেই যেতেন না। আমার বাবা নেশা করতো। অধিকাংশ সময় বাইরে থেকে নেশা করে ঘরে ফিরত, কখনও কখনও বাসায় এসেও নেশা করতো। বাবাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাকে হত্যা করেছে।”

মাকে হারিয়ে তার হত্যার বিচার চেয়ে তাসলিমার মেয়ে বলেন, “আমরা চাই, বাবার ফাঁসি হোক।”

নিহতের চাচাতো ভাই বলেন, “মাঝে মাঝেই আমার বোন দুলাইভায়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। বোনকে মারধর করত। প্রায় বাবার বাড়ি চলে যেত।”

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পেনাল্টি গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ
  • ঢাকায় ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার