পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আরও পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন সাক্ষীদের সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। ২৯ অক্টোবর মামলাগুলোর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।

আজ যে পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁরা হলেন প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের পরিচালক আল মামুন মিয়া, রাজউকের উপসচিব তানজিল্লুর রহমান, রাজউকের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো.

জাকির হোসেন এবং ঢাকা সদর রেকর্ড রুমের সাবরেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান ও কক্সাবাজার সদরের সাবরেজিস্ট্রার জাহিদুর রহমান।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. মঈনুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ৩২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ জুলাই অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দুই বিশেষ জজ আদালত।

দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া তাঁর পরিবারের অন্য অভিযুক্ত সদস্যরা হলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি)।

দুদকের পিপি খান মো. মইনুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাজউকের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী, ঢাকায় যাঁদের প্লট-গাড়ি-বাড়ি কিছুই নেই, তাঁরা মূলত সংস্থার প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনার পরিবার রাজউকের কাছে মিথ্যা হলফনামা দেয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, তাদের ঢাকা শহরে জমি-বাড়ি কোনো কিছুই নেই। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, শেখ হাসিনার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নামে বাড়ি-জমি-গাড়ি সবই আছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁরা রাজউকের ৬০ কাঠার প্লট নিয়েছেন, যা অপরাধ। অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গসহ অন্যান্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ নেওয়া প্লটের বিষয়ে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ছয় মামলায় গত ১০ মার্চ অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় দুদক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পর ব র র র জউক র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কুবিতে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলা বিভাগ বনাম ইংরেজি বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা- ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। ম্যাচে ইংরেজি বিভাগকে ৪- ১ গোলে হারিয়ে বাংলা বিভাগ জয়লাভ করে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।

আরো পড়ুন:

হংকংয়ের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল বাংলাদেশ

পেনাল্টি গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “খেলোয়াড় সুলভ আচরণের মাধ্যমেই খেলা সম্পন্ন হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সুষ্ঠুভাবে খেলা সম্পন্ন হবে বলে আমি আশাবাদী। এছাড়া প্রশিক্ষকের মাধ্যমে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের দল গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে।”

ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, “খেলাধুলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা ভালো খেলবে, ভালো খেলা দেখবে। খেলাধুলার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মন হয় বড়, মানসিকতা হয় উন্নত। আর সেই মনোভাব যেন মাঠে প্রতিফলিত হয়।”

তিনি বলেন, “সৌহার্দ্যের জন্য খেলা, বন্ধুত্বের জন্য খেলা, বিরোধিতার জন্য নয়। খেলোয়াড়দের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা সুস্থ ও সুন্দরভাবে খেলা সম্পন্ন করে এবং মাঠে রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে খেলা চালিয়ে যায়।”

এবারের টুর্নামেন্টে ১৯টি বিভাগ অংশগ্রহণ করেছে। আগামী ২৯ অক্টোবর ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ