২২ বছর আগের হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই ভাই গ্রেপ্তার
Published: 15th, October 2025 GMT
রাজশাহীতে ২২ বছর আগের চাঞ্চল্যকর ট্রাকচালকের সহকারী মো. আনজু হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শাহীনুর রহমান শাহীন (৪৮) ও সাদিকুর রহমান সুমন (৪৫) নামের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই আসামিরা সম্পর্কে ভাই।
আদালতে সাজার পর থেকে ১৫ বছর ধরে তারা আত্মগোপনে ছিলেন। অবশেষে বুধবার রাজশাহী শহরের শাহ মখদুম থানার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহীন ও সুমন নগরের রাজপাড়া থানার ভেড়ীপাড়া কেশবপুর এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। তারা নিজেদের নাম পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলেন।
আরো পড়ুন:
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, ২০০৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে আনজুকে খুন করা হয়। ট্রাকচালককে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তার সহকারীকে ট্রাকের মধ্যেই হত্যা করা হয়। এর আগে সোনামসজিদ থেকে ট্রাকটি ভাড়া নিয়ে পাবনার দাশুড়িয়ায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে নানা নাটকীয়তার পর রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় আনজুকে হত্যা করা হয়।
পরদিন সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক থেকে আনজুর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সময় ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবলু বাদী হয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, মামলার পর আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা ৫ বছর হাজতে থাকার পর ২০১০ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হন। পরে আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
এরপর আসমিরা সাজা এড়াতে নিজেদের নাম পরিবর্তন করে নতুন এনআইডি কার্ড বানিয়ে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। মামলা ও রায়ের সূত্র ধরে ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর পর থেকে ১৫ বছর ধরে তারা আত্মগোপনে ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ধরা দেয় গভীর নদীর টান
ভ্রম
শর্পবিষে নীল এই ভূমিশয্যা
কুঠারসময় চিরে নিচ্ছে আলো, মায়া, দান-প্রতিদান।
ওই দিকে জীবিতরা হারিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্যহীন...
যতই বলি না কেন ‘ফিরে এসো’,
ধরা দেয় গভীর নদীর টান, নিশ্চুপ সময়
আরও কিছু মৃতের গন্ধ।
অথচ কথা ছিল
তুমি নেবে পূর্ণিমার চাঁদ, আমি আষাঢ়ের জল।
কিম্ভূত রসায়ন...
গন্তব্যমুখী মানুষ উঠে পড়ছে
ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বাসস্টপেজ
স্বামীর কাঁধে সহধর্মিণী
প্রেমিকের বাহুতে জড়ানো প্রিয়তমা
সত্য এই, আমি পারিনি,
নকল আত্মায় জমেনি প্লেটোনিক প্রেম,
শুধু অদ্ভুত রসায়নে ঘন হয় কাঁথা–বালিশ।
প্রেমার্ত পুতুল, স্বপ্নপ্রতিমা—চুকিয়ে নাও ধুলোমাটির সংসার
অপরাধামে উঠে পড়ছে মানুষ!
ঋষিপ্রতিম কালপুরুষ গগনে চন্দ্রচূড়
তুমি কী আমাকে অভিশাপ দিচ্ছ?
আমি এক জন্মশরণার্থী
চিনেছি শুধুই পুনর্বাসন,
তুমি তাকে অমরত্ব দিয়েছ—
ঐতিহাসিক বন্দনা।
আজ যেন ক্লাসরুমগুলো
বড় বেশি ফাঁকা লাগে,
ভোরের শানানো ব্লেডে কাটে দিন
একে অপরের কাঁধে রাখি শ্বাস;
এখন শরণার্থীর বোবাযুদ্ধ নৃত্য করে
পায়ে তার নূপুরের শিকল,
ছায়া ক্রমশ হ্রস্ব হচ্ছে কি?
জ্যান্ত আকাশ ছোঁয় পুনর্জন্মের
চরণ ও পঙ্ক্তি।
কলিং বেল...
দরজাটা হাট করা ছিল
দু-একটি আঙুল, নড়ে ওঠে ভ্রুযুগল;
চোখের কোনো ইশারা নেই,
দূর-কণ্ঠে বিষম–কথা:
খয়েরি দানার ভোরে শূন্য বোধিমূলে
গেঁথে আছে বাঁশি।
তার করুণ সুরে বেড়ে ওঠে একাকী বেলা!
ছুঁয়ে যাই মেঘমর্ম, কাঁটার সুড়ঙ্গ বেয়ে
নেমে আসে বিধ্বস্ত সময়—
আমাদের ঘোরলাগা মুখ!
দূরে সাইকেলের টিউব ফাটার শব্দ
সত্তা গমনের এ-ও এক নিগূঢ় খেলা।
একটি মন্মথ গান...
ঝরে পড়ছে স্বরলিপি।
কুচি কুচি সকালের সোনা রোদ
ঝলসে যাওয়া পাখির ডানা বয়ে আনে
শোক আর শ্রদ্ধার পদাবলি।
ওই গড়িয়ে যাচ্ছে দেখো
পলাতক মানুষের চরণ ও মুণ্ডু!