চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস সড়কে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের পর একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি দলের প্রচেষ্টায় রাত ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বাকলিয়া বিদ্যুৎ বিতরণকেন্দ্রের পাশে একটি বহুতল ভবনের সামনে থাকা ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় বহুতল ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মন্নান রাত ১০টা ১০ মিনিটে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। বহুতল ভবনটির দুই থেকে চারতলা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্তের দাবি

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যের একজন নার্গিস আক্তার বলে দাবি করেছেন বোন পরিচয় দেওয়া মৌসুমি। তাঁর দাবি, পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্ত করেছেন তিনি।

আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন মৌসুমি।

গতকাল মঙ্গলবার শিয়ালবাড়ির একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো গতকাল সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনমিরপুরে আগুন: ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি স্বজনদের১ ঘণ্টা আগে

মৌসুমি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন নার্গিস (১৯) মাত্র ১৫ দিন আগে চারতলা ভবনটির তিনতলার কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। নার্গিস কোনো মুঠোফোন ব্যবহার করতেন না। কারখানাটির লাইনম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।

মৌসুমি বলেন, পায়ে থাকা নূপুর দেখে তিনি তাঁর বোনের লাশ চিনতে পেরেছেন।

মৌসুমি জানান, তাঁদের বাবার নাম ওয়াজিউল্লাহ। তিনি ফলের আড়তে কাজ করেন।

মর্গের সামনে জড়ো হওয়া ভুক্তভোগী স্বজনদের একজন ফাতেমা বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪) চারতলা ভবনটির তিনতলার কারখানায় কাজ করতেন। মেয়ের লাশ দেখে তিনি চিনতে পেরেছেন।

ফাতেমা বেগম (বাঁয়ে) বলছেন, তাঁর মেয়ের নাম মাহিরা আক্তার। তাঁর লাশ শনাক্ত করতে পেরেছেন তিনি। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গের সামনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাল ভোট, চলছে রাকসু ভবন প্রস্তুতের কাজ
  • মাদাগাস্কারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাসের জীর্ণ দশাই কি বিক্ষোভ উসকে দিয়েছিল
  • পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্তের দাবি
  • মিরপুরে আগুন: ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি স্বজনদের
  • বিশেষ পোশাক পরে মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে ঢোকার প্রস্তুতি ফায়ার সার্ভিসের
  • পদ্মায় বিলীন বিদ্যালয়টি চালুর উদ্যোগ নেই