প্রতিশোধের ম্যাচে তিন গোলরক্ষক নিয়ে খেলে ফাইনালে মরক্কো
Published: 16th, October 2025 GMT
ইয়ানিস বেনশাউশ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে মরক্কোর গোলপোস্টে নিয়মিত মুখ। গতকাল রাতে টুর্নামেন্টটির সেমিফাইনালে তাঁকে নিয়েই একাদশ গড়েন মরক্কো কোচ মোহাম্মদ উয়াহবি। কিন্তু ৬৪ মিনিটে চোটের কারণে তাঁকে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়। দ্বিতীয় গোলকিপার ইব্রাহিম গোমিজকে তাঁর জায়গায় মাঠে নামানো হয়।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ দিকে ১-১ গোলে সমতায় ছিল ফ্রান্স ও মরক্কো। তখন (১২০+৫ মিনিট) গোমিজকে তুলে নিয়ে দলের তৃতীয় গোলকিপার আবদেল হাকিম এল মেসবাহিকে মাঠে নামান মরক্কো কোচ। উদ্দেশ্য পরিষ্কার—টাইব্রেকারে পেনাল্টি শট ঠেকাতে হবে।
মেসবাহির পানির বোতলের ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের ছবি ছিল। ছবির পাশে ফ্রান্সের খেলোয়াড়েরা কে কোনদিকে শট নিতে পারেন, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণও ছিল। কৌশলটা কাজে দেয়। চলতি টুর্নামেন্টে এর আগে মরক্কোর হয়ে একটি ম্যাচও না খেলা মেসবাহি টাইব্রেকারে দিলিয়ান এনগুসেনের নেওয়া ফ্রান্সের শেষ শটটি রুখে দেন। তাতে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলের জয়ে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে মরক্কো। এ টুর্নামেন্টে এটাই প্রথম ফাইনাল আফ্রিকান দেশটির।
চিলির ভালপারাইসোতে এ জয়ের পর বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার ভোরে সান্তিয়াগোতে ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে মরক্কো। কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।
টাইব্রেকারে মরক্কোর জয়ের নায়ক গোলকিপার আবদেল হাকিম এল মেসবাহি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল ম সব হ মরক ক
এছাড়াও পড়ুন:
ফল খারাপের কারণ পর্যালোচনা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল খারাপের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডাটাভিত্তিক পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আববার।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফল প্রকাশ উপলক্ষে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “এবারের ফল অস্বস্তিকর হলেও বাস্তবভিত্তিক। কেন এমন হলো, তার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডাটাভিত্তিক পর্যালোচনা করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ দায় এড়াতে পারে না।”
তিনি আরো বলেন, “দেশে একটি ভুল সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, যেখানে ফলাফলের সংখ্যাই হয়ে উঠেছিল প্রধান মানদণ্ড। ফল ভালো দেখাতে গিয়ে শেখার সংকট আড়াল করার প্রবণতা আমরা বন্ধ করতে চাই।”
তিনি জানান, পরীক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, বিশেষ করে সীমান্তরেখায় থাকা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যেন ন্যায্যতা বজায় থাকে।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল হক জানান, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন এবং ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন।
ঢাকা/এএএম/ইভা