জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’–এর বিশেষ প্রদর্শনী এবং প্রদর্শনী-পরবর্তী আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিল বাংলা একাডেমিতে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুমতি বাতিল করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। অনুমতি বাতিলের প্রতিবাদে একাডেমির মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজকেরা।

শনিবার বেলা চারটার দিকে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজ বেলা সাড়ে তিনটায় ‘রেডপোস্ট’–এর উদ্যোগে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্রের কিছু অংশ প্রদর্শনীর কথা ছিল। এরপর সেখানে ‘ফ্যাসিজমমুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিল।

অনুষ্ঠানটির জন্য একাডেমি প্রথমে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু আজ বেলা দেড়টার দিকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) অনুমতি বাতিল করেছেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশে তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু অনুমতি বাতিলের নির্দিষ্ট কোনো কারণ তিনি জানাননি।

আলোচনা সভায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব, সাংবাদিক শফিক রেহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু একাডেমি অনুমতি বাতিল করায় অতিথিদের আসতে বারণ করা হয়। তবে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সংবাদ সম্মেলনে আসতে বলেছিলেন আয়োজকেরা।

সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমার প্রাথমিক অনুভূতি হলো ‘দ্য রিমান্ড’ এখন রিমান্ডে আছে। এই ছবিটা কেন দেখতে দেওয়া হলো না, তার একটা যুক্তিসংগত কারণ থাকতে পারে উনাদের (একাডেমির কর্তৃপক্ষের) কাছে। আমি যেহেতু সে বিষয়ে জানি না, তাই সেটা নিয়ে কোনো চর্চা করছি না।’

এরপর নাগরিক ঐক্যের এই সভাপতি বলেন, ‘একটা ছবি দেখবার পরে সেন্সর বোর্ডের দায়িত্বের মধ্যেই আছে যে তারা বলবে ছবিটিকে তারা অনুমতি দিচ্ছে কি দিচ্ছে না, না দিলে কেন দিচ্ছে না। সেটা তো বলা হয়নি, সেটা কেন?’

‘দ্য রিমান্ড’–এর প্রযোজক অ্যাডভোকেট বেলায়েত বেলাল বলেন, ‘বাংলা একাডেমির ডিজি মহোদয় চলচ্চিত্র পরিচালক আশরাফুর রহমানকে দেড়টার দিকে টেলিফোনে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন। তিনি নাকি তার ঊর্ধ্বতন থেকে নির্দেশিত হয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্য রিমান্ড’–এর পরিচালক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘দ্য রিমান্ড দেখে তাঁরাই ভয় পাবেন, যাঁদের ঘাড়ের মধ্যে ফ্যাসিজম চেপে বসে আছে। দ্য রিমান্ড ফ্যাসিস্টদের চরিত্র উন্মোচনের একটি ছবি, তাহলে ভয় পেল কারা? এটা আমাদের জানা দরকার। আজকে ডিজি মহোদয়ের সঙ্গে যখন আমার কথা হলো, তিনি বললেন, “সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন যে এটি দেখানো যাবে না।” আসল কথা হচ্ছে যারা ভয় পেয়েছে, তারা দেখাতে দিচ্ছে না।’

আরও পড়ুনচলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সরকার: নাহিদ ইসলাম২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা