ডিম খেলে কি সত্যিই কোলেস্টেরল বাড়ে?
Published: 14th, January 2025 GMT
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ধমনি সংক্রান্ত নানা ধরনের রোগের ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকেই ডিম, তেল ও মাটন খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু কোলেস্টেরল বাড়লে কি সত্যিই ডিম খাওয়া বন্ধ করতে হবে? ডিম খেলে কি সত্যিই কোলেস্টেরল বাড়ে?
ডিম পুষ্টিতে ভরপুর। তবে ডিমেও কোলেস্টেরল রয়েছে। একটি মাঝারি সাইজের ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে। অন্যদিকে, ডায়েটরি গাইডলাইন্স ফর আমেরিকানের মতে, একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষ দৈনিক ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারেন। সুতরাং, একটি ডিম খেলে কোনো ক্ষতি নেই। ভারতীয় পুষ্টিবিদ মঞ্জিরা স্যানাল বলেন, ‘মানুষের ধারণা ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে। কিন্তু ডিমে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। তা ছাড়া ডিমে পুষ্টিও অনেক।’
ডিমে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। সুতরাং, প্রতিদিন একটি করে ডিম সেদ্ধ খেলে শরীর ভালো থাকবে। কিন্তু আপনি যদি হাই কোলেস্টেরলের রোগী হন, সেক্ষেত্রে আপনার এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর নির্ভর করছে আপনি ডিম খাবেন কি না। যদি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম বা স্বাভাবিক থাকে, সে ক্ষেত্রে ডিম সেদ্ধ খেতে পারবেন। আবার চাইলে ডিমের সাদা অংশটুকুও খেতে পারেন। ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলতে পারেন। কিন্তু কারণ ছাড়াই ডিম খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়।
ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি। কিন্তু প্রতিদিন ডিম খেলে যে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাবে কিংবা হার্টের সমস্যা দেখা দেবে, এই ধারণা ঠিক নয়। বরং, ডিম খেলে দেহে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি মিটবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি এড়াতে ডিম নয়, বাইরের খাবার খাওয়া ছাড়ুন। অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট যুক্ত খাবারে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল