আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ নিয়ে এসেছে বিশ্বের অন্যতম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। ‘ব্রিজ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম’ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উন্নয়ন খাতে নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য ছয় মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্রিজ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামটি মূলত তরুণ প্রতিভাবানদের উন্নয়ন খাতে নিয়ে আসা এবং তাদের মাধ্যমে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

ইন্টার্নশিপের মেয়াদ ও অভিজ্ঞতা
ছয় মাস মেয়াদি এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ব্র্যাকের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এতে বাস্তব কাজের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধানে অংশ নেওয়ার ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ থাকবে।

আরও পড়ুনজাপানে মেক্সট স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষা, জিপিএ ২.

৩০ হলে আবেদন ১৯ অক্টোবর ২০২৫

আবেদনের যোগ্যতা
—স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
—স্নাতকের শেষ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত বা কোর্স সম্পন্ন করে শুধু ইন্টার্নশিপ বাকি এমন শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

যেসব বিভাগে ইন্টার্নশিপের সুযোগ
অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রাম, কমিউনিকেশনস ও  হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশনসহ মোট ১৮টি বিষয়ে ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে।

ভবিষ্যৎ সুযোগ
ইন্টার্নশিপ শেষে যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ব্র্যাকে চাকরির সম্ভাবনাও রয়েছে। এটি উন্নয়ন খাতে একটি ক্যারিয়ার গঠনের পথ খুলে দিতে পারে।

আবেদন শেষ কবে
আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা।
* বিস্তারিত জানতে এবং আবেদনের পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন

আরও পড়ুনসাইনবোর্ডে ‘কলেজ’, লেখাপড়া নেই ২১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপ্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি, আবেদন শেষ ২৫ নভেম্বর১৬ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কনকনে শীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথনে ৩৫০ জন

কনকনে শীত নিয়ে এসেছে হিমেল হাওয়া। ঘরের বাইরে বেরোলেই সেই হাওয়া শরীরে কাঁপন ধরায়। এমন আবহাওয়ার মধ্যে আজ শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতু এলাকায় জড়ো হন বিভিন্ন জেলার ৩৫০ দৌড়বিদ। সেখানে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরাও। তবে উচ্ছ্বাস প্রকাশে যেন কেউ কারও থেকে কম নয়। হাফ ম্যারাথনে অংশ নিতেই তাঁদের এই জমায়েত।

আজ সকালে এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটি (বিআরসি)। আয়োজকেরা জানান, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌড় হয়। এর মধ্যে ছিল ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।

আয়োজক, অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, সূর্য ওঠার আগেই ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে দৌড়বিদেরা জেলা শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতুর ওপর জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল ৬টায় প্রথমে ২১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীরা সেখান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫ ও ১০ কিলোমিটারের দৌড়বিদেরা রওনা দেন। সর্বশেষ সকাল ৭টায় শিশুদের দুই কিলোমিটারের দৌড় শুরু হয়।

২১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী একজন। ১০ কিলোমিটারে অংশগ্রহণ করেন ১৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬৬ জন ও নারী দুজন। ৫ কিলোমিটারে অংশ নেন ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী ১০ জন। ২ কিলোমিটার দৌড়ে ৪৩ জন শিশু অংশ নেয়।

দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদের পাশাপাশি ভারত, জাপান, নেপাল ও ডেনমার্কের চারজন অংশ নেন। জেলা শহরের তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক কালীবাড়ি মোড় থেকে বিজয়নগরের নূরপুর জিসি সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে দৌড়বিদেরা ছড়িয়ে পড়েন। নির্দেশিত পথ ধরে প্রত্যেকে নিজের নির্ধারিত দূরত্ব অনুযায়ী দৌড় সম্পন্ন করেন।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মুহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, ‘১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছি। ভালো লাগছে। হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত হাঁটা ও দৌড়ের বিকল্প নেই।’

দৌড় শেষের ফিনিশিং লাইনে পৌঁছান এক দৌড়বিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কনকনে শীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথনে ৩৫০ জন
  • সিকৃবিতে শিবিরের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা