ব্র্যাকে ইন্টার্নশিপ, স্নাতকে আবেদন—সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার
Published: 21st, October 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ নিয়ে এসেছে বিশ্বের অন্যতম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। ‘ব্রিজ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম’ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উন্নয়ন খাতে নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য ছয় মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্রিজ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামটি মূলত তরুণ প্রতিভাবানদের উন্নয়ন খাতে নিয়ে আসা এবং তাদের মাধ্যমে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
ইন্টার্নশিপের মেয়াদ ও অভিজ্ঞতা
ছয় মাস মেয়াদি এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ব্র্যাকের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এতে বাস্তব কাজের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধানে অংশ নেওয়ার ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ থাকবে।
৩০ হলে আবেদন ১৯ অক্টোবর ২০২৫
আবেদনের যোগ্যতা
—স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
—স্নাতকের শেষ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত বা কোর্স সম্পন্ন করে শুধু ইন্টার্নশিপ বাকি এমন শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে ইন্টার্নশিপের সুযোগ
অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রাম, কমিউনিকেশনস ও হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশনসহ মোট ১৮টি বিষয়ে ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে।
ভবিষ্যৎ সুযোগ
ইন্টার্নশিপ শেষে যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ব্র্যাকে চাকরির সম্ভাবনাও রয়েছে। এটি উন্নয়ন খাতে একটি ক্যারিয়ার গঠনের পথ খুলে দিতে পারে।
আবেদন শেষ কবে
আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা।
* বিস্তারিত জানতে এবং আবেদনের পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবার, ফিটনেস আর উৎসব-একসঙ্গে ফ্যামিলি রানার্স ৭.৫ কিলোমিটার রান ২০২৫
সকালের শিশিরভেজা ঘাস, দিগন্তে উঠতি সূর্য আর দৌড়ের উচ্ছ্বাসে মুখর রাজধানীর এক প্রভাত। এমনই প্রাণবন্ত দৃশ্য ছিল ‘জি-১ অ্যাডভান্স প্রেজেন্টস ফ্যামিলি রানার্স ৭.৫ কিমি রান ২০২৫’–এর সকালে।
ভোর ৫টা ৩০ মিনিট থেকেই অংশগ্রহণকারীদের ভিড় জমতে শুরু করে। কেউ পরিবারের সঙ্গে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে হাজির হন উৎসবমুখর পরিবেশে। ঠিক সকাল ৬টায় উষ্ণায়নের পর শুরু হয় দৌড়, যা চলে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
মোট ১ হাজার ৫০০ জন দৌড়বিদ অংশ নেন এবারের আয়োজনে—পুরুষ ১ হাজার ৭৩ জন, নারী ২১৮ জন এবং শিশু ২০৯টি। এ ছাড়া প্রায় ১৪০টি পরিবার একসঙ্গে অংশগ্রহণ করে, যা এই আয়োজনে এনে দেয় এক অনন্য পারিবারিক বন্ধনের রূপ।
দৌড়ের প্রতিটি ধাপে অংশগ্রহণকারীদের পাশে ছিল সার্বক্ষণিক মেডিকেল সাপোর্ট, অ্যাম্বুলেন্সসহ অভিজ্ঞ চিকিৎসক দল। আর পাঁচটি হাইড্রেশন পয়েন্টে ছিল পানি ও এনার্জি ড্রিংকসের ব্যবস্থা।
পরিবারসহ রেজিস্ট্রেশনকারীদের জন্য ছিল বিশেষ ক্রেস্ট, আর ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট। বিজয়ীরা পান ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ পুরস্কার।
ইভেন্টের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের রানিং জগতের পরিচিত মুখ খবীর উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল এবং দৌড়বিদ মো. খায়রুল ইসলাম।
আয়োজক মফিজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সালমা আক্তার ঝিনুক সার্বিকভাবে পুরো অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধান করেন। মফিজুল ইসলামের ভাষায়, ‘এটা শুধু দৌড় নয়, এটা পরিবার, ফিটনেস আর একসঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার উৎসব।’
ইভেন্টে ১১ জন পেসার দায়িত্ব পালন করেন—২ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ। তাঁদের মধ্যে পেসার মোহাম্মদ আলী ফিরোজ বলেন, ‘এই আয়োজন প্রমাণ করে, দৌড় শুধু ফিটনেস নয়, এটি জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রতীক।’
আয়োজনটির টাইটেল স্পনসর ছিল জি–১ অ্যাডভান্স ব্লাড গ্লুকোজ মনিটর। সাপোর্ট পার্টনার হিসেবে ছিল আমানত ফুডস, আর অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল প্রথম আলো। মেডিক্যাল পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিকস সেন্টার লিমিটেড, আর আইসক্রিম পার্টনার ছিল স্যাভয় আইসক্রিম।
টিভি মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল যমুনা টিভি এবং কমিউনিকেশন পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল আরসা (এআরএসএ)। স্ন্যাকস পার্টনার ছিল ডেকো টেস্টি অ্যান্ড হেলদি, ড্রিংকস পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে আলট্রা, আর টাইমিং পার্টনার ছিল টোটাল অ্যাকটিভ স্পোর্টস।
এ ছাড়া ভিডিও কনটেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে আপসাইট বাংলাদেশ, গার্মেন্টস পার্টনার ছিল অ্যাডভারগো, নিউট্রিশন পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল সিক্সার্স চকলেট এবং ভলান্টিয়ার পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে কিউটিএস (কোয়ালিটি ট্রেইনিং সলিউশন)।