কুড়িগ্রামে সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ পদযাত্রা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রামের কলেজ মোড় বিজয়স্তম্ভ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌথভাবে এ পদযাত্রার আয়োজন করে।

পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘‘আর যদি আমার কোনো ভাই-বোনের লাশ সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলে থাকে, তাহলে কাঁটাতার লক্ষ্য করে আজকের ‘মার্চ ফর ফেলানী’র মতো লং মার্চ করা হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী থেকে বলতে চাই, আমরা সীমান্তে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে তার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে।’’

এ সময় সারজিস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মেনে নিবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যদি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য কোনো দেশের দালাল হন; তাহলে তাদের পরিণতি খুনি হাসিনার মতো হবে।’’

ঢাকা/সৈকত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ