আমার প্রেম হলে অনেকের মনটা ভেঙে যায়: পরীমণি
Published: 16th, January 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানারকম চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্পষ্টবাদী হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ মানুষের জীবনের অনুষঙ্গ। এসব বিষয়েও তার বক্তব্য পরিষ্কার।
অভিনেতা জয় চৌধুরীর সঙ্গে সিনেমার প্রচারসহ বিভিন্ন আয়োজনে দেখা যায় পরীমণিকে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের চর্চায় মেতেছেন নেটিজেনরা। এ বিষয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন পরীমণি।
আলাপচারিতার একপর্যায়ে অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে-কলকাতা সব জায়গাতেই আপনার পাশে অভিনেতা জয় চৌধুরীকে দেখা যায়! এ কথা শুনেই হেসে ফেলেন পরীমণি। ব্যাখ্যা করে পরীমণি বলেন, “আরে আরে! কী যে বলেন। ও তো আমার বান্ধবীর স্বামী। ওর বউ আমার বন্ধু, আমার বোন। জয় তাই ‘দুলাভাই’, আপনাদের ভাষায় জামাইবাবু।”
আরো পড়ুন:
ছেলেকে নিয়ে ঘুরছেন রাজ, পরীমণি-রাজের সম্পর্কে বরফ গলেছে?
পরীমণির লুকে ‘চমক’
কলকাতায় এই গুঞ্জন না ছড়ানোর অনুরোধ করে পরীমণি বলেন, “সত্যিই আমাদের মধ্যে খুবই মিষ্টি সম্পর্ক। খুব মজা করি আমরা। দোহাই, কলকাতায় আবার এই গুঞ্জনটা যেন ছড়িয়ে দেবেন না! সাংবাদিকদের বড় ভয়।”
পরীমণি আবার প্রেমের সম্পর্কে জড়াবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিত্রনায়িকা বলেন, “আমার প্রেম হলে দেখি অনেকের মনটা ভেঙে যায়। আমি কারো হবো না— তাতে লোকে খুশি। একজনের হলেই বিশাল ব্যথা! তাই অনুরাগীদের জানাচ্ছি, আমি কারো নই বাবা! তোমরা খুশি থাকো (হাহাহা)।”
এদিকে, পরীমণি অভিনীত ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমা আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাবে। সিনেমাটি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন পরীমণি। তিলি লিখেন, “আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ আমার প্রথম সিনেমা ফেলুবক্সী রিলিজ হবে! আমার কাছে এই প্রথমটা একটু অন্যরকম স্পেশাল। কারণ, এটা আমার কলকাতার প্রথম সিনেমা। সিনেমা রিলিজ তো নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের মুহূর্ত। কিন্তু মন খারাপ হচ্ছে ভীষণরকম। ভিসাটা হলো নাহ! খুব মিস করছি আমার ফেলুবক্সী টিমের সবাইকে।”
কালকাতার মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে পরীমণি লেখেন, “ডানাকাটা পরী বলেই আজ উড়ে যেতে পারি না। যাইহোক, কলকাতা আমি যেতে পারি নি কিন্তু ফেলুবক্সীর লাবণ্যকে সবাই দেখতে পাবেন আগামীকাল আপনার কাছের সিনেমা হলে। আমি আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। প্রিয় কলকাতা ভালোবাসা নিও।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’