বাংলাদেশে জুলাই মাসের পর থেকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বদল ঘটেছে। যদিও দুই দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অবাধ বিচরণ এখনও অব্যাহত। তবে ভিসা জটিলতায় পড়েছেন দুই দেশের অনেক শিল্পী।

চঞ্চল চৌধুরীর পর জিয়াউল ফারুক অপূর্ব’র ক্ষেত্রে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। এবার পরীমণির ক্ষেত্রেও তাই হল। নিজেই আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সে কথা জানিয়েছেন।

পরীমণি লিখেছেন, ‘আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ এ কলকাতায় আমার সিনেমা ‘ফেলুবক্সি’ রিলিজ হবে! আমার কাছে এই প্রথমটা একটু অন্যরকম স্পেশাল। কারণ, এটা আমার কলকাতার প্রথম ছবি। ছবি রিলিজ তো নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের মুহূর্ত, কিন্তু মন খারাপ হচ্ছে ভীষণ রকম। ভিসা টা হলো নাহ! খুব মিস করছি আমার ফেলুবক্সি টিমের সবাই কে। কান্না পাচ্ছে আমার।’

পরী আরও লিখেছেন, ‘ডানা কাটা পরী বলেই আজ উড়ে যেতে পারি না। যাই হোক, কলকাতা আমি যেতে পারিনি কিন্তু ফেলুবক্সির লাবণ্য’কে কলকাতার সবাই দেখতে পাবেন আগামীকাল আপনার কাছের সিনেমা হলে। আমি আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। প্রিয় কলকাতা ভালোবাসা নিও।’

‘ফেলুবক্সী’ সিনেমায় লাবণ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমণি। এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। আরো আছেন কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত থ্রিলারধর্মী এ সিনেমার শুটিং হয়েছে গত বছরের এপ্রিলে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলক ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ