নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুধু তা-ই নয়, ওই অনুষ্ঠানে কোনও প্রতিনিধিও পাঠাবেন না তিনি।

আগামী ২০ জানুয়ারি সোমবার ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। এ উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না। জানা গেছে, জাস্টিন ট্রুডো সেদিন ব্যস্ত থাকবেন তার মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের নিয়ে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রোডাক্টের ওপর ট্যারিফ আরোপের যে হুমকি দিয়েছেন সেটি কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তার ওপর আলোচনা নিয়ে তিনি ব্যস্ত থাকবেন।

তবে আলবার্টার প্রিমিয়ার ডানিয়েল স্মিথ সে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন এবং সেখানে তিনি যোগ দেবেন। গত সপ্তাহে দানিয়াল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে কিছুটা সময়ও ব্যয় করেছেন তার সঙ্গে।

অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডার সব প্রিমিয়ারদের নিয়ে মিটিং করেছেন। সেখানে তিনি সব প্রিমিয়ারদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছেন যে, কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া যায় বা তা মোকাবিলা করা যায়। ট্রুডোর ডাকা মিটিংয়ে সব প্রিমিয়াররা একমতে পৌঁছালেও কানাডার আলবার্টার প্রিমিয়ার ডানিয়েল স্মিথ ভিন্নমত পোষণ করেছেন। এমনকি যৌথ স্টেটমেন্টেও তিনি স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। অন্যদিকে তিনি আগামী সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে মেটা এবং আমাজন ১ মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দিচ্ছে। ওপেন এআই সিইও স্যাম আল্টম্যান ব্যক্তিগতভাবে দিচ্ছেন ১ মিলিয়ন ডলার। 

অভিষেক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দ ডান, অতি ডানপন্থি পপুলিষ্ট নেতারা। বেছে বেছে তিনি তেমন নেতাদেরই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেক বছর পর প্রথমবারের মতো বিদেশি সরকার প্রধানরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেকে যোগ দিচ্ছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি

পটুয়াখালীতে স্থানীয় পর্যায়ে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই বিজ্ঞপ্তির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সম্প্রতি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী সালিস বৈঠকে অংশ নিয়ে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এ বিষয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য তুলে ধরে ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি এই বিজ্ঞপ্তি দেয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। সংকটময় মুহূর্ত আসছে, তাই দলীয় নেতা-কর্মীরা যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় না জড়ান, তাই তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। এই দলের প্রত্যেক কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক। তাই দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা-কর্মী স্থানীয় পর্যায়ে কোনো প্রকার সালিস, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট এবং মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।

একই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি এবং জনগণের পাশে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের সদা হাস্যোজ্জ্বল, ভদ্র ও অমায়িক আচরণমুখী হতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ