ভারতের ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি খবর ঘুরছে। শোনা যাচ্ছে, জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন এই হার্ডহিটার ব্যাটার। গুঞ্জন উঠেছে, উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির এমপি প্রিয়া সরোজের সঙ্গে বাগদান পর্ব সেরে ফেলেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে এখনো মুখ খুলেননি রিঙ্কু বা প্রিয়া।  

ভারতের একাধিক প্রথম সারির গণমাধ্যম সূত্রের দাবি, রিঙ্কুর পরিবার থেকে প্রিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রিয়ার বড় দুলাভাই, যিনি আলিগড়ের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, এই প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, তবে এখনো বিয়ে হয়নি।”  

তবে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন প্রিয়ার বাবা তুফানি সরোজ। শুক্রবার রাতে তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর। রিঙ্কুর পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল মাত্র। বাগদানের খবর পুরোপুরি মিথ্যা।”  

রিঙ্কু সিং বর্তমানে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি। এই সিরিজ শুরু হবে ২২ জানুয়ারি কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে।  

হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে রিঙ্কু সিং আজ ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্স তার প্রতি আস্থা রেখে ১৩ কোটি টাকায় তাকে ধরে রেখেছে। অন্যদিকে, রিঙ্কুর কথিত জীবনসঙ্গী প্রিয়া সরোজ একজন আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রিয়া বর্তমানে রাজনীতিতে বেশ সক্রিয়।  

যদিও প্রিয়া এবং রিঙ্কুর সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা চলছে, তবে সত্যতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি শুধুই গুঞ্জন হিসেবেই থেকে যাচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র পর ব র গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ