উত্তর মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া শহরের একটি শিবিরে সরকারি বাহিনীর অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে অভিবাসীরা কম্বল ও বিছানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। শনিবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে তিনি অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ বন্ধের কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প মেক্সিকো সরকারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ না নিলে মেক্সিকোর ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করা হবে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মধ্যরাতে দাঙ্গাবিরোধী পোশাকে ন্যাশনাল গার্ড ও সামরিক পুলিশসহ প্রায় ২৫০ জন মেক্সিকান কর্মকর্তা চিহুয়াহুয়া শহরের অভিবাসী ক্যাম্পটি ঘিরে ফেলেন।

অভিবাসীরা এর প্রতিবাদে তাদের কম্বল ও ম্যাট্রেসে আগুন ধরিয়ে দেন এবং শিশু ও জিনিসপত্র নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো প্রাণহানি বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় কৃষকদল নেতার ওপর হামলা

জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ফরিদপুর মহানগর কমিটিতে অন্তর্কোন্দলের জের ধরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখের (৩৭) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ শেখ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ফরিদ শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী বাজার এলাকায় এ হামলা হয়। আহত ফরিদ শেখ ফরিদপুর পৌরসভার বৈঠাখালী মহল্লার বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলকে ঘিরে এ হামলা হয়েছে। দুই দিন আগে ফরিদ শেখ মহানগর কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টে তিনি ফিরোজ শেখের বাবার আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া এবং ফিরোজের দলীয় কার্যক্রমে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ফরিদ জানতে চান, ফিরোজ শেখ কীভাবে মহানগর কৃষকদলের প্রচার সম্পাদক হন, যেখানে তাকে এলাকায় কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে দেখা যায়নি। এর দুই দিনের মাথায় হামলা হলো।

আহত ফরিদ শেখের স্ত্রী জুঁই বেগম জানিয়েছেন, ফরিদ শেখ মোটরসাইকেলে করে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে ফিরোজ শেখ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা ফরিদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মাথায় ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে।

ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের সভাপতি মো. মামুন অর রশিদ বলেছেন, স্থানীয় বিরোধের জেরে এ হামলা ঘটে থাকতে পারে। ফিরোজ শেখ প্রচার সম্পাদক নন, তিনি সহ-ক্রীড়া সম্পাদক।

ফিরোজের বাবার রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হলে ছেলে অন্য দল করতে পারবে না, এমনটা নয়। ফিরোজ আন্দোলন-সংগ্রামে দলের পাশেই ছিলেন। 

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফিরোজ শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) গণেশ কুমার আগরওয়ালা জানিয়েছেন, ফরিদ শেখের চিকিৎসা চলছে। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেছেন, ধুলদি এলাকায় মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/তামিম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ