পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত
Published: 16th, November 2025 GMT
২০২৬ সালে রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের সম্ভাব্য তারিখের কথা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, আগামী ২০ মার্চ (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে।
আল জারওয়ান বলেন, ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দেখা যেতে পারে। তবে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, রোজা পালন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে এবং চলতে পারে ৩০ দিন।
যদি রোজা ৩০ দিন পূর্ণ হয়, যেমনটা ধারণা করা হচ্ছে; তবে আরব আমিরাতের সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ঈদের ছুটিতে পবিত্র রমজানের ৩০তম দিনটি যুক্ত হবে। ফলে দেশটির বাসিন্দারা চার দিনের ছুটি পেতে পারেন—১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ মার্চ (রোববার) পর্যন্ত। এরপর ২৩ মার্চ (সোমবার) আবার অফিস শুরু হবে।
আল জারওয়ান বলেন, ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দেখা যেতে পারে। তবে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, রোজা পালন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে এবং চলতে পারে ৩০ দিন।পবিত্র ঈদুল ফিতর ইসলামিক বর্ষপঞ্জির অন্যতম বড় উৎসব। ঈদের নামাজ দিয়ে এদিনের সূচনা হয়। এরপর দেশে–বিদেশে পরিবার–পরিজন নিয়ে সময় কাটানো, দান–খয়রাত করা ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
যদি পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদদের হিসাবের সঙ্গে মিলে যায়, তবে প্রথম শাওয়াল, অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২৬ হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি, নির্ধারিত সময়ের কাছাকাছি গিয়ে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মনে হবে প্রধান উপদেষ্টা গ্রহণযোগ্য বক্তব্য দিয়েছেন, কিন্তু এর মধ্যেও দ্বিমত থাকতে পারে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণের বিষয়ে এখনো কারও কারও দ্বিমত থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার একমাত্র বিকল্প নির্বাচন।
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬: জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক নির্বাচনী সংলাপে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন বিএনপি মহাসচিব। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংলাপের আয়োজন করে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এফএসডিএস)।
এ সময় জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা নিঃসন্দেহে অনেকেই হয়তো মনে করবেন যে, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা বক্তব্য তিনি দিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যেও দ্বিমত থাকতে পারে, আপনার অন্য মত থাকতে পারে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্বাচন দিয়ে জনগণের একটা পার্লামেন্ট (সংসদ) নির্বাচিত করা হবে। সেই পার্লামেন্টই জনগণের সমস্ত যে ইস্যুগুলো আছে, সেই ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট একটা পথ বাতলে দিতে পারবে।’
বাংলাদেশে বারবার গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বরাবর গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছি, লড়েছি, সংগ্রাম করেছি; কিন্তু গণতন্ত্র চর্চা করার কোনো সুযোগ পাইনি।’ পাকিস্তান আমল থেকেই গণতন্ত্রের চর্চাকে নষ্ট করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যক্রমে একটা গণতান্ত্রিক শক্তি প্রথম গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘গণতন্ত্রকে কার্যকর করার জন্য আমার জানামতে একটি মাত্র পন্থা রয়েছে। সেই পদ্ধতিটি কিন্তু হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচনটা যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ না হয়; তাহলে কিন্তু কখনো গণতন্ত্র কোনো দেশে কার্যকর হতে পারে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা সবাই একমত— নির্বাচন ছাড়া এই জাতির ক্ষতে মলম দেওয়ার আর কোনো উপায় নেই।’ সে জন্য আগামী নির্বাচনে গণরায় মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করারও আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন চেয়ে গৃহযুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা
সংলাপে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, দেশে এখন যাঁরা সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচনের দাবি করছেন, তাঁরা দেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, নির্বাচন হবে পাঁচ বছর পরে; ২০২৪–এর পরের নির্বাচন ২০২৯ সালে।
কোন সাংবিধানিক যুক্তির ভিত্তি থেকে নির্বাচন চাওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্নও তোলেন ফরহাদ মজহার। দেশের প্রচলিত আইন মানার বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা মনে করেন ঠিক আছে উপদেষ্টার সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) শেখ হাসিনার সংবিধান মেনেছে, তাহলে ২০২৯ সালের নির্বাচন আপনাকে মেনে নিতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা মনে করি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছে যে বাংলাদেশ কোনো দেশের কাছে এবং বিশেষভাবে ভারতের যে কর্তৃত্ব আছে বাংলাদেশের ওপরে, সার্বভৌমত্বের ওপরে; এটা কোনোভাবেই আর গ্রহণ করবে না।’ সে জন্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার ওপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিপদে থাকলে ঐক্যবদ্ধ হয় উল্লেখ করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আজকের এই মিটিং থেকে আমি প্রস্তাব করব একটা প্রস্তাব দেওয়ার জন্য যে আমরা কোনো রাজনৈতিক দল কারও ব্যাপারে হেট স্পিচ দেব না (ঘৃণা ছড়াব না)।’
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬: জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক নির্বাচনী সংলাপে আলোচকেরা