বিজিবির জন্য কেনা হচ্ছে সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল
Published: 20th, January 2025 GMT
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তে সবসময় প্রাণঘাতী অস্ত্রই দেওয়া ছিল। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেড মারেনি, কেন কাঁদানে গ্যাস মারেনি? কিন্তু এগুলো তো বিজিবির কাছে নেই। তাদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র, যেটা তারা ব্যবহার করতে পারেনি।’
গেল ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু বিজিবি এগুলো ব্যবহার করেনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবির কাছে এগুলো নেই, তাহলে তারা কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবে?’
‘এখন আমরা তাদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি, তাদের জন্য এসব জিনিস ক্রয় করা হবে। প্রাণঘাতী অস্ত্র তাদের কাছে আছে। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেলের মতো যেসব জিনিস, তাদের কাছে নেই, সেগুলো তাদের জন্য ক্রয় করা হবে। এসব কেনার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের কাছে এগুলো আছে, কিন্তু বিজিবির কাছে নেই,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।
সীমান্ত এখন স্থিতিশীল অবস্থায় জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেখানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘এরআগে একটি সার্কুলার দিয়েছিলাম যে আমাদের দেশে অনেকেই অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৪৯ হাজার ২২৬ বিদেশি বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। এখন সেটা কমে আসছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন। আগামী ৩১ জানুয়ারি তাদের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে এসব বিদেশির মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা আমরা রাজস্ব আয় করেছি। বিদেশিদের কাজ দিতে হলে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু যদি তারা সেটা না নিয়ে থাকেন, তাহলে যেই সংস্থা তাদের চাকরি দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ