Samakal:
2025-11-03@05:01:11 GMT

মধু খাওয়ার উপকারিতা

Published: 21st, January 2025 GMT

মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধু অতি পরিচিত। পুরোনা এবং বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটি এক ধরনের ইমিউনিটি বুস্টার, যা মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মধু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ফাঙ্গাস– এই তিন ধরনের জীবাণুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। বর্তমান বিশ্বে মধু অনেক খাদ্য এবং ওষুধের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে কোনো বয়সের একজন মানুষ নিয়মিত মধু খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন। 
মধুর গুণাগুণ
পুষ্টিগুণে ভরা মধুতে উচ্চশক্তির ক্যালরি, পুষ্টি উপাদান যেমন– কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য উপাদান বিদ্যমান; যা শরীরে শক্তি জোগায়। মধু ক্ষতের দুর্গন্ধ দূর করে এবং ক্ষত নিরাময় ও চিকিৎসায় সহায়ক। মধু খাবার হজমে সহায়তা করে, ক্ষুধা বাড়ায়। অম্লতা ও আন্ত্রিক রসের নিঃসরণকে মধু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। নিয়মিত মধু খেলে বুক জ্বালা ও ঢেঁকুর তোলা দূর হয় এবং পাকস্থলীর আলসার নিরাময় হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মধু অন্যতম উপাদান। নিয়মিত মধু সেবনে আপনিও পেতে পারেন দীর্ঘ জীবন। পেশিতে টান লাগা কমে নিয়মিত মধু খেলে। নিয়মিত মধু খেলে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হয়। প্রাকৃতিক এ উপাদান পাকস্থলীর উত্তম বন্ধু। পেটের যে কোনো পীড়ায় এটি উপকারী। লোকজ ওষুধ হিসেবে যকৃৎ রোগের চিকিৎসায়ও মধু ব্যবহৃত হয়। স্নায়ুবিক দুর্বলতা ও অবসাদে মধু পান অত্যন্ত উপকারী। ক্ষেত্রবিশেষে চক্ষুরোগেও মধু কার্যকরী। শিশুর শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধিতে মধু সেবন সহায়ক। মধু সর্দি ও কাশি কমাতে ভূমিকা রাখে।
মধু পানের নিয়ম   
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ও নিয়মানুযায়ী পরিমাণমতো মধু পান করলে উপকার পাবেন। এ ছাড়া আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মধু খেতে পারেন।  
যেভাবে খাবেন
হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে পূর্ণ ফল পাওয়া যায়। মধুর ঠান্ডা দ্রবণ অম্লতা বাড়ায় এবং পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটায়। একেবারে খালি পেট এবং প্রধান খাবারের পরই মধু খাওয়া ঠিক নয়।  
যারা নিয়মিত মধু খান তারা সকালে খালি পেটে পানি পান করার অন্তত ১৫-২০ মিনিট পর মধু সেবন করবেন। পূর্ণ বয়স্ক লোক প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ গ্রাম এবং একজন শিশু গড়ে ১০ গ্রাম মধু খেতে পারবে। অবশ্যই দিনে ৬ চামচের বেশি মধু খাওয়া উচিত নয়। অল্প গরম দুধের সঙ্গে মধু সেবন করা ভালো অভ্যাস। চায়ের সঙ্গে মধু খাওয়া যেতে পারে। সকালে নাশতার পাশাপাশি প্রতিদিন আধা চা চামচ মধু খাওয়া ভালো।  ডায়াবেটিক রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মধু খাওয়া ঠিক নয়। যেভাবেই খান না কেন খাঁটি মধু খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
লেখক: মৌ পালন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির