মধু অতি পরিচিত। পুরোনা এবং বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটি এক ধরনের ইমিউনিটি বুস্টার, যা মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মধু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ফাঙ্গাস– এই তিন ধরনের জীবাণুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। বর্তমান বিশ্বে মধু অনেক খাদ্য এবং ওষুধের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে কোনো বয়সের একজন মানুষ নিয়মিত মধু খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন।
মধুর গুণাগুণ
পুষ্টিগুণে ভরা মধুতে উচ্চশক্তির ক্যালরি, পুষ্টি উপাদান যেমন– কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য উপাদান বিদ্যমান; যা শরীরে শক্তি জোগায়। মধু ক্ষতের দুর্গন্ধ দূর করে এবং ক্ষত নিরাময় ও চিকিৎসায় সহায়ক। মধু খাবার হজমে সহায়তা করে, ক্ষুধা বাড়ায়। অম্লতা ও আন্ত্রিক রসের নিঃসরণকে মধু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। নিয়মিত মধু খেলে বুক জ্বালা ও ঢেঁকুর তোলা দূর হয় এবং পাকস্থলীর আলসার নিরাময় হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মধু অন্যতম উপাদান। নিয়মিত মধু সেবনে আপনিও পেতে পারেন দীর্ঘ জীবন। পেশিতে টান লাগা কমে নিয়মিত মধু খেলে। নিয়মিত মধু খেলে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হয়। প্রাকৃতিক এ উপাদান পাকস্থলীর উত্তম বন্ধু। পেটের যে কোনো পীড়ায় এটি উপকারী। লোকজ ওষুধ হিসেবে যকৃৎ রোগের চিকিৎসায়ও মধু ব্যবহৃত হয়। স্নায়ুবিক দুর্বলতা ও অবসাদে মধু পান অত্যন্ত উপকারী। ক্ষেত্রবিশেষে চক্ষুরোগেও মধু কার্যকরী। শিশুর শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধিতে মধু সেবন সহায়ক। মধু সর্দি ও কাশি কমাতে ভূমিকা রাখে।
মধু পানের নিয়ম
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ও নিয়মানুযায়ী পরিমাণমতো মধু পান করলে উপকার পাবেন। এ ছাড়া আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মধু খেতে পারেন।
যেভাবে খাবেন
হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে পূর্ণ ফল পাওয়া যায়। মধুর ঠান্ডা দ্রবণ অম্লতা বাড়ায় এবং পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটায়। একেবারে খালি পেট এবং প্রধান খাবারের পরই মধু খাওয়া ঠিক নয়।
যারা নিয়মিত মধু খান তারা সকালে খালি পেটে পানি পান করার অন্তত ১৫-২০ মিনিট পর মধু সেবন করবেন। পূর্ণ বয়স্ক লোক প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ গ্রাম এবং একজন শিশু গড়ে ১০ গ্রাম মধু খেতে পারবে। অবশ্যই দিনে ৬ চামচের বেশি মধু খাওয়া উচিত নয়। অল্প গরম দুধের সঙ্গে মধু সেবন করা ভালো অভ্যাস। চায়ের সঙ্গে মধু খাওয়া যেতে পারে। সকালে নাশতার পাশাপাশি প্রতিদিন আধা চা চামচ মধু খাওয়া ভালো। ডায়াবেটিক রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মধু খাওয়া ঠিক নয়। যেভাবেই খান না কেন খাঁটি মধু খাওয়ার চেষ্টা করুন।
লেখক: মৌ পালন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত