ব্যক্তিগত জীবন উপভোগের জন্যই অবসর চেয়েছি: ক্যামেরন ডিয়াজ
Published: 21st, January 2025 GMT
এক দশক পর পর্দায় ফিরলেন হলিউড অভিনেত্রী ক্যামেরন ডিয়াজ। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘ব্যাক ইন অ্যাকশন’। যেখানে তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধলেন জেমি ফক্স। লম্বা এ অবসরকে তাঁর জীবনের সেরা সময় বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
বিবিসির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ওহ মাই গড! আমার এটি [অবসর] ভালো লেগেছে, এটি আমার জীবনের সেরা ১০ বছর।’ অবসর নেওয়ার কারণ কী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু স্বাধীনভাবে একজন মা, একজন স্ত্রী হতে এবং কিছুটা ব্যক্তিগত জীবন কাটানোর জন্যই অবসর চেয়েছিলাম।’
‘এটি খুবই দারুণ ছিল। আমাকে যদি প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার জন্য পরিবার ছেড়ে থাকতে হয় [কাজের জন্য] তাহলে আমি তা [কাজটা] করতে চাই বিনোদন জগতের সবচেয়ে প্রতিভাবান মানুষগুলোর সঙ্গে,’ বললেন এ অভিনেত্রী।
১৯৯৪ সালে প্রখ্যাত অভিনেতা জিম ক্যারির বিপরীতে কমেডি সিনেমা ‘দ্য মাস্ক’ দিয়ে হলিউডে অভিষেক হয় ক্যামেরন ডিয়াজের। এরপর দীর্ঘ অভিনয় জীবন থেকে ২০১৪ সালে হঠাৎ বিরতিতে চলে যান তিনি। ওই বছর তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘অ্যানি’ সিনেমাতে।
এবার এক দশক পর অভিনয়ে ফেরা। সেটি স্থায়ী হবে কিনা– এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। নেটফ্লিক্সের ‘ব্যাক ইন অ্যাকশন’ সিনেমায় ক্যামেরন ডিয়াজকে দেখা যাবে সিআইএ’র সাবেক গুপ্তচর এমিলি চরিত্রে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
সাপ্তাহিক ‘পঙক্তি’র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারীর সমান অধিকার, সাংস্কৃতিক জাগরণ ও মুক্তচিন্তার বিকাশ ছাড়া বৈষম্যহীন সমাজ গঠন সম্ভব নয় এমন মত প্রকাশ করেছেন বক্তারা।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাপ্তাহিক পঙক্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’সহ ৩৮ দাবি সংবাদকর্মীদের
‘সাম্য, মর্যাদা ও আলোকিত সমাজের স্বপ্নে ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা’
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, “নারীরা অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও পুরুষতান্ত্রিক নানা বৈষম্য ও হেনস্তার শিকার হন। আমরা দেখছি, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও নারী ও শিশুরা লাঞ্ছিত, নিপীড়িত হচ্ছে, এটি লজ্জার বিষয়। আমরা এমন সমাজ চাই না। আমরা চাই একটি সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত সমাজ, যেখানে নারী–পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে।”
প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বলেন, “আমরা বর্তমানে একটি সাংস্কৃতিকভাবে খারাপ সময় পার করছি। একটি নতুন রাজনৈতিক আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, তাতে একমাত্র একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবই আমাদের জাতিকে রক্ষা করতে পারে।”
কবি ও কলামিস্ট সোহরাব হাসান বলেন, “ফেসবুক–ইউটিউবের যুগে একটি সাহিত্য পত্রিকা টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। বর্তমানে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক ধরনের বৈরী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে মাজার, দরগা, শিল্পী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক তৎপরতা। এই আক্রমণ জাতিসত্তার উপর আক্রমণ, আমাদের শিল্প–সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সুকুমার ভিত্তির উপর আঘাত। এর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে সাপ্তাহিক পঙ্ক্তির সম্পাদক কবি জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না ওরফে পান্না বেগম বলেন, “আজ আমি খুব আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। আমি একজন সফল নারী বলে নিজেকে সম্মান করি। আমি ২৬ বছর ধরে কাজ করি। কারোর মুখাপেক্ষী হইনি। একটি পত্রিকা কারোর সহযোগিতা ছাড়া নিয়মিত প্রকাশ করা এতোটা সহজ নয়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজকের এই জায়গাটি তৈরি হয়েছে।”
বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মফিজুর রহমান বাবু বলেন, “সাপ্তাহিক পঙ্ক্তি পত্রিকাটি নিয়ে প্রথম থেকেই আমার একটি চিন্তা ছিল। পত্রিকাটির নাম পঙ্ক্তি কেন? খুব চিন্তা করে এর দুইটি কারণ খুঁজে পেলাম। একটি হলো-এই পত্রিকাটির সম্পাদক একজন কবি ও সাংবাদিক। উনার কবিসত্তার চিন্তাধারা থেকে এই নামটি নির্ধারণ করেছেন। কারণ পঙ্ক্তি শব্দের অর্থ কবিতার লাইন বা সারি। আর দ্বিতীয়টি হলো- সম্পাদকের একমাত্র কন্যার নাম পঙ্ক্তি। সন্তানের প্রতি একজন মায়ের যে অসাধারণ ভালোবাসা, তারই বহিঃপ্রকাশ হলো সাপ্তাহিক পঙ্ক্তি।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মানিক মুনতাসির, কবি ও সাংবাদিক বজলুর রহমান, কবি মোশাররফ হোসেন ইউসূফ, বাংলানিউজের সাংবাদিক তুলনা আফরিন প্রমুখ।
ঢাকা/এসবি