ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা-নির্মাতা পরমব্রত চ্যাটার্জি। বাংলাদেশি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। এ নির্মাতার পরবর্তী সিনেমা ‘এই রাত তোমার আমার’। চলতি মাসের শেষের দিকে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।

বয়স্ক দম্পতির গল্প নিয়ে এগিয়েছে ‘এই রাত তোমার আমার’ সিনেমার কাহিনি। প্রধান দুই চরিত্র রূপায়ন করেছেন অপর্ণা সেনগুপ্ত ও অঞ্জন দত্ত। তেতাল্লিশের পরমব্রত বয়স্ক দম্পতির গল্প নিয়ে সিনেমা বানিয়ে দারুণ আলোচনায় উঠে এসেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে পরমব্রত সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু পরমব্রতর কাছে দাম্পত্য জীবন মানে কী? ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ‘বাইশে শ্রাবণ’খ্যাত এই অভিনেতা।

আরো পড়ুন:

বাবার ‘লক্ষ্মী ট্যারা’ চোখ নিয়ে স্মৃতিকাতর স্বস্তিকা

রঞ্জিত মল্লিকের বাড়িতে তারার মেলা

পরমব্রত চ্যাটার্জি বলেন, “আমি অনেক বেশি বয়সে বিয়ে করেছি। আমার বন্ধুরা ৩০ বছরে বিয়ে করেছে। তারা এখন ক্লান্ত। আমি ৪২ বছরে বিয়ে করেছি। মানে আরো ১২ বছর পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করেছি।”

স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে পরমব্রতর। তা জানিয়ে এই নির্মাতা বলেন, “আমার বাড়ি ফিরতে ভীষণ ভালো লাগে। বউ, পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। আমার দু’জন হাউজ স্টাফ আছেন। তারাও আমার পরিবারের অংশ। আমার কাছে বিয়েটা ভীষণ আনন্দদায়ক, মজার আর ফুলফিলিং।”

২০২১ সালে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন সংগীতশিল্পী অনুপম রায়। ওই সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল, পরমব্রতর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে অনুপমের সংসার ভেঙেছে। যদিও তা অস্বীকার করেন পরমব্রত। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর সেই পিয়ার গলায় মালা পরিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন পরমব্রত। তবে সব সমালোচনা পেছনে ফেলে দাম্পত্য জীবনে দারুণ উপভোগ করছেন তিনি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ