নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক নবায়ন হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 26th, January 2025 GMT
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছিল ঢাকা ও বেইজিং। এ সমঝোতা স্মারক নবায়নের বিষয়ে দুই দেশই একমত। তবে কিছু সংশোধন করে তা নবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
চীন সফর শেষে রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি চীনের বেইজিং ও সাংহাই সফর করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে চীনের সঙ্গে সমাঝোতা নবায়ন প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটি নবায়ন ইস্যুতে আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণ তাদের (বেইজিং) দিয়েছি। তারা তাদেরটা আমাদের জানিয়েছে। একটু সময় লাগবে (নবায়নের খসড়া চূড়ান্ত হতে), তবে এটা হয়ে যাবে। ইয়ালুজাংবু নদীর জলবিদ্যুৎ-সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবার সই হয়েছে। ওই নদীতে চীনের বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
মার্কিন অনুদান কমে যাওয়া নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর তহবিল বন্ধের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, এটা বাংলাদেশ বা কোনো রাষ্ট্রের জন্য একক সিদ্ধান্ত নয়। ব্যতিক্রম দু-একটি দেশ ছাড়া এটা বিশ্বের সবার জন্যই এবং এটি সাময়িক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে এর যোগসূত্র থাকায় তা অপ্রত্যাশিত নয়।
বাংলাদেশেও সব মার্কিন সহায়তা বন্ধের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এটার উত্তর এখন দিতে পারব না। কারণ, আমার কাছে এ রকম উত্তর আসেনি। তবে এটা ইতোমধ্যে পত্রিকায় চলে এসেছে। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ৯০ দিনের জন্য সব ধরনের তহবিল বন্ধ রাখছে।
মার্কিন সহায়তা বন্ধে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বার্ষিক অর্থায়নে প্রভাবের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা একটা নতুন বাস্তবতায় আসছি। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট এসেছেন। তাঁর নীতিমালাগুলো যে আগে থেকে ভিন্ন, এটা সবাই জানতেন। আমাদের দেখতে হবে, শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট পরর ষ ট র উপদ ষ ট সমঝ ত
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’