ব্রাজিলকে উড়িয়ে দেওয়া আর্জেন্টিনাকে রুখে দিল কলম্বিয়ার
Published: 27th, January 2025 GMT
আগের ম্যাচেই ব্রাজিলকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। যা এই দুই দলের যে কোন স্তরের ফুটবলে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে নিষ্পত্তি হওয়া ম্যাচ। উড়তে থাকা আলবিসেলেস্তারা পরের ম্যাচেও হেসেখেলেই জিতবে, এমনটাই ধারনা ছিল সমর্থকদের। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি, ২০২৫) দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আর্জেন্টিনা।
মঙ্গলবার মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম গোলটা করে কলম্বিয়াই। আসরের অন্যতম ফেবারিট এই দলকে ৩৩ মিনিটে অস্কার পেরেরা এগিয়ে দেন। যদিও এই লিড ৩ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি তারা। তরুণ তারকা ক্লদিও এচেভেরির গোলে সমতা ফেরে আর্জেন্টিনা। এর আগে ব্রাজিলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে চুক্তিবদ্ধ এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের বাকি সময়ও বলের দখলে দাপট দেখায় আর্জেন্টিনা। তবে সুযোগ তৈরিতে আর্জেন্টিনার চেয়ে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়াই। ম্যাচে ৭০ শতাংশ বলের দখল রেখে ৭টি শট নিয়ে মাত্র ৩টি লক্ষ্যে রাখে আলবিসেলেস্তারা। অন্যদিকে ৩০ শতাংশ বলের দখল রাখা কলম্বিয়া শট নেয় ৯টি এবং লক্ষ্যে রাখে ৪টি। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সান্তিনো বারবি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে এই ম্যাচে হারতেও পারত তারা।
আরো পড়ুন:
আর্জেন্টিনা ম্যাচের দুঃস্বপ্ন ভুলে জয়ের ধারায় ব্রাজিল
ফ্লিকের মাইলফলক স্পর্শের রাতে দুমাস পর জয়ের ধারায় বার্সালোনা
আগামী শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোরে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ বলিভিয়া।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্রয়ের পরও অবশ্য ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষেই আছে আর্জেন্টিনা। ২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৪। অন্যদিকে এক ম্যাচের একটিতে ড্র করে চারে আছে কলম্বিয়া।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক প আম র ক আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন কলম ব য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’