ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অবৈধ অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়েও ফেরত পাঠানোর দৃশ্যও দেখা গেছে। এসব ঘটনা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মার্কিন গায়িকা-অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ।

গতকাল সেলেনা গোমেজ তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাকে। ভিডিওর ক্যাপশনে এই গায়িকা লেখেন— “আমি দুঃখিত।” যদিও সমালোচনার মুখে ভিডিওটি মুছে ফেলেছেন এই অভিনেত্রী।

তবে অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সেলিনা গোমেজ বলেন, “সবাইকে বলতে চাই, আমি খুবই দুঃখিত। অনেকে হামলার শিকার হচ্ছেন, শিশুরাও বাদ যাচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি না, কী হচ্ছে। আমি খুবই দুঃখিত। যদি আমি কিছু করতে পারতাম! কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। আমি জানি না কী করব। তবে আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যা সম্ভব তার সবকিছু করব।”

আরো পড়ুন:

জেনিফারের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, ওবামার সংসার ভাঙার খবর কতটা সত্য

যারা পেলেন এবারের অস্কার মনোনয়ন

সেলেনা গোমেজের পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়ে থিতু হয়েছেন। আগের এক সাক্ষাৎকারে সেলিনা জানিয়েছিলেন, ১৯৭০ সালে তার ফুফু মেক্সিকোর সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার জন্য একটা ট্রাকের পেছনে উঠেছিলেন। তার পিছু পিছু আসেন সেলেনার দাদা-দাদিও। সেলেনার বাবার জন্ম টেক্সাসে। ১৯৯২ সালে সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন সেলেনা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাহায্য করতে ৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মহিউদ্দিন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোস্তাক গাউসুল হক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচন পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সদস্য পদ, ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, মাস্টার্স বা এম ফিল প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত হতে হবে।

সন্ধ্যাকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

ডাকসুতে নতুন ৪ পদ

হালনাগাদ করা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নতুন করে তিনটি সম্পাদকীয় পদ সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো হলো গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।

নির্বাচন পরিচালনার কাঠামো

প্রতিটি আবাসিক হলে অথবা ক্যাম্পাসের ভেতরে উপযুক্ত কোনো স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট দেবেন।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে কেউ আপত্তি জানালে তা উপাচার্যের কাছে দাখিল করা যাবে এবং এ বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুনডাকসু নির্বাচনের কমিশন ও তফসিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ