‘আমি এখন প্রকৃত সৌদিকে চিনি’, নেইমারের হৃদয়স্পর্শী বার্তা
Published: 29th, January 2025 GMT
সৌদি আরব ছেড়ে ঘরে ফিরছেন নেইমার জুনিয়র। সান্তোসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করছেন তিনি। আল হিলালের সঙ্গে সমঝোতা করে চুক্তি বাতিল করেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। সৌদি ছাড়ার আগে আল হিলাল, ক্লাবটির ভক্ত, সৌদি আরব ও দেশটির নতুন বন্ধুদের নিয়ে বার্তা দিয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা।
নেইমার জানিয়েছেন, এখন তিনি আসল সৌদিকে চেনেন। এছাড়া ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক সৌদির জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় তিনি লিখেছেন- সৌদি ফুটবলে নজর রাখবেন তিনি।
নেইমার লিখেছেন, ‘আল হিলালের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে এবং ভক্তদের ধন্যবাদ। আমি এখানে খেলার জন্য নিজের সবটা উজাড় করে চেষ্টা করেছি। আশা করেছিলাম, মাঠে উপভোগ্য সময় কাটাব। আমি ও আমার পরিবারকে নতুন একটি ঘর ও দারুণ অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি এখন প্রকৃত সৌদিকে চিনি এবং এখানে অনেকের সঙ্গে আমার আজীবনের বন্ধুত্ব হয়েছে।’
সৌদি ফুটবলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে জানিয়ে নেইমার লিখেছেন, ‘ফুটবলের প্রতি তোমাদের ভালোবাসা এবং আবেগ আমি সবসময় অনুভব করবো। ২০৩৪ বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমি ক্লাব ও দেশ হিসেবে সবসময় সৌদির ফুটবল অনুসরণ করবো। সৌদির জন্য দারুণ ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে, দারুণ কিছু ঘটতে যাচ্ছে। আমি সবসময় তোমাদের সমর্থন দিয়ে যাবো।’
নেইমার ২০২৩ সালে সৌদি ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু গত দেড় বছরের অধিকাংশ সময় তিনি ইনজুরিতে ছিলেন। তার সঙ্গে আল হিলালের আরও ৬ মাসের চুক্তি ছিল। কিন্তু সৌদি লিগের জন্য তাকে নিবন্ধন করাননি আল হিলাল কোচ। যে কারণে চুক্তি বাতিল করে ব্রাজিলে শৈশবের ক্লাবে ফিরছেন নেইমার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আল হ ল ল র র জন য ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
স্মার্টফোন পেলেন রাজশাহীর ৫০ প্রতিবন্ধী
রাজশাহীর ৫০ জন প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে একটি করে স্মার্টফোন দেওয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সরকারি সেবায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এসব মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্সে আয়োজিত ‘অ্যাক্সেসিবল ডিজিটাল পরিষেবা ও পঠন উপকরণের প্রচার কর্মশালা’ শেষে তাদেরকে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়। কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) ও অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)।
ডিজিটাল সাক্ষরতার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত এ কর্মশালা শেষে ১০টি স্বসহায়ক দলের প্রতিনিধিদের হাতে ৫০টি সিম্ফনি ইনোভা-৩০ মডেলের স্মার্টফোন তুলে দেওয়া হয়। সিবিএম গ্লোবাল ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুশন ও সিবিএম সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সিডিডি। সহযোগী সংস্থা হিসেবে আছে সমতা নারী কল্যাণ সংস্থা। চলতি বছরের এপ্রিলে শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২৮ সালের মার্চে।
এ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা স্মার্টফোন পেয়ে খুশি। তবে, তারা কর্মশালায় বলেছেন, সরকারি ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপগুলোতে এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। স্ক্রিন রিডার, ভয়েস কমান্ড সুবিধা বাড়ানো, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ভিডিও সংযোজন এবং স্থানীয় পর্যায়ে সহায়ক কর্মী নিয়োগের পরামর্শ দেন তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। তিনি বলেছেন, “এই প্রশিক্ষণ কেবল একটি দিনের আয়োজন নয়, এটি একটি পরিবর্তনের সূচনা। তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে আমরা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছি। প্রযুক্তি ব্যবহারে তারা স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি সমাজ, যেখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা কারো সম্ভাবনাকে থামিয়ে দিতে পারবে না।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআইর যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক রশেদুল মান্নাফ কবির। তিনি বলেন, “ডিজিটাল সেবা শুধু প্রযুক্তি নয়, এটি মানবিকতারও বিষয়। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযুক্তি যেন সহায়ক হয়, প্রতিবন্ধক নয়, সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বায়েজীদ হোসেন ওয়ারেছী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমতা নারী কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম। সিডিডির সহকারী পরিচালক আনিকা রহমান লিপির সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইর পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য।
ঢাকা/কেয়া/রফিক