কয়েক বছর আগে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী মধুবন সিনেমা হলকে আধুনিকায়ন করে সিনেপ্লেক্স করা হয়। আশার আলো দেখলেও দুই ঈদ ছাড়া বাকি সময় খরচই তুলতে পারছিল না হলটি। এরপর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রাখা হয় সিনেপ্লেক্সটি। এর মধ্যে এবার, সিনেপ্লেক্সটি কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন হলটির মালিকের বড় ছেলে এস এম ইউনুস।

আরও পড়ুন৮ ছবি মুক্তির মাসে হল বন্ধের হিড়িক২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হলটির দেখভালের দায়িত্বে আছেন এস এম ইউনুস। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘হল রেখে লাভ কী? চালাতে তো পারছি না। দুই ঈদ ছাড়া কর্মচারীর বেতনও ওঠাতে পারছি না। তাই হলের আউটডোরের অংশজুড়ে কমিউনিটি সেন্টার করছি। টিকে তো থাকতে তো হবে।’
কারণ হিসেবে সরকারের অসহযোগিতা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কোনো সহযোগিতা করছে না। বারবার মিটিং করেছি, কোনো দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের বিদেশি সিনেমা আমদানির সুযোগ দিতে হবে। শুধু হিন্দি না, হলিউড সিনেমা আমদানির সুযোগ সব হলকেই দিতে হবে।’

আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন এ হল মালিক। জানান, নতুন সরকার এলে দাবি জানাবেন। তাদের যদি সহযোগিতা পেলে সিনেমা হল থাকবে, না হলে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এর আগে হল বন্ধের বিষয়ে প্রথম আলোকে হলটির মালিক রোকনুজ্জামান ইউনুস প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, দর্শক চাহিদা অনুযায়ী সিনেমার অভাব এবং সরকারের এই শিল্পের প্রতি অনীহার কারণে সামান্য দর্শক নিয়ে হল চালানো সম্ভব না। বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন টানা সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত দর্শকের অভাবসহ নানা বাস্তব কারণে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। হলটির মালিক রোকনুজ্জামান ইউনুস বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের। কারণ, সিনেমা হল কেবল একটি ব্যবসা নয়, এটি আমাদের আবেগের জায়গা। কিন্তু এভাবে তো ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায় না। সিনেপ্লেক্স শুরুর পর খরচ অনেক বেড়েছে। তাই বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক বন ধ র হলট র ইউন স সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাহস করে সত্য প্রকাশ করে যাবে প্রথম আলো

প্রথম আলো সাহসের সঙ্গে সত্য প্রকাশ করে যাবে বলে জানিয়েছেন সম্পাদক মতিউর রহমান। প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ, প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতাকে মনে রেখে আমাদের সামনের দিনে কাজ করতে হবে। পিছু হটা যাবে না। নতুন পথের সন্ধান করতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে এই কর্মী সম্মেলন হয়। প্রথম আলোর ঢাকা কার্যালয়ের সব কর্মীর পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি; যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জার্মানির হ্যানোভার, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এবং ভারতের দিল্লি, কলকাতা ও মুম্বাই প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে যোগ দেন।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মী সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত প্রথম আলোর সাংবাদিক-কর্মী ও অতিথিরা দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গান। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ