ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি মারা গেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। গতকাল গোপনে সান্তাক্রুজ শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের। 

ভার্সেটাইল এই অভিনেতা বেশ কিছু চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন। চার দিন আগে ভারতীয় আরোগ্য নিধি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। জয়পুরের বাসিন্দা আসরানির মৃত্যুর খবর তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর প্রকাশ করে পরিবার।  

আরো পড়ুন:

ধর্মের জন্য অভিনয়কে বিদায়: বিয়ে করে সমালোচনার মুখে জাইরা

মা হলেন পরিণীতি চোপড়া

আসরানির ব্যক্তিগত সহকারী বাবু ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে বলেন, “আসরানি সাহেবকে চার দিন আগে জুহুর ভারতীয় আরোগ্য নিধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, তার ফুসফুসে পানি জমেছিল। ২০ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান। তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।” 

এভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার কারণ ব্যাখ্যা করে বাবু বলেন, “আসরানি সাহেব সবসময় চেয়েছিলেন শান্তিতে বিদায় নিতে। তিনি তার স্ত্রী মঞ্জুকে বলেছিলেন, তার মৃত্যুকে যেন কোনো বড় ইভেন্টে পরিণত না করা হয়। তাই পরিবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরই মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে।”  

পরিবারের পক্ষ থেকে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি একটি প্রার্থনা সভার পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বাবু।  

কমেডি অভিনয়ে আসরানির অবদান অপরিসীম। কয়েক দশকের ক্যারিয়ারে হিন্দি সিনেমাকে আরসানি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য স্মরণীয় চরিত্র এবং দর্শকদের হৃদয়ে তৈরি করেছেন বিশেষ জায়গা। 

অভিনেতা আসরানির ক্যারিয়ার ছিল বহুমাত্রিক ও দীর্ঘস্থায়ী। গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ে ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে একজন কমেডি ও পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে হিন্দি সিনেমার অনেক বড় বড় চলচ্চিত্রের অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠেছিলেন এই অভিনেতা। 

সত্তরের দশক ছিল আসরানির সোনালি যুগ। এই সময়ে ‘মেরে আপনে’, ‘কোশিশ’, ‘বাওয়ার্চি’, ‘পরিচয়’, ‘অভিমান’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ছোটি সি বাত’ এর মতো ক্ল্যাসিক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুপারহিট ‘শোলে’ সিনেমায় কারাগারের অদ্ভুত জেলারের ভূমিকায় অভিনয় করে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। এই চরিত্র তাকে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। 

৮৪ বছর বয়সেও অভিনয় করেছেন আসরানি। গত কয়েক বছরে ‘বান্টি আউর বাবিল টু’, ‘নন স্টপ ধামাল’, ‘ড্রিম গার্ল টু’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘হাইওয়ান’ ও ‘ভূত বাংলা’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন এই অভিনেতা। দুটো সিনেমাই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।   

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আসর ন র কর ছ ন পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

‘সুলতানার স্বপ্ন’ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে দৃশ্যশিল্প প্রদর্শনী

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের উপন্যাস ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নিয়ে বিশেষ দৃশ্যশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এ সময়ের ১৯ জন শিল্পী নিজেদের মতো করে সেই স্বপ্নময় ভাবনাকে নতুন করে ব্যাখ্যা করেছেন। ‘সুলতানার স্বপ্ন’–এর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ‘বিশ্বস্মৃতি’ বা ‘ওয়ার্ল্ড মেমোরি’র স্বীকৃতি উদ্‌যাপন করতে এ আয়োজন করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও কলাকেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আজ শনিবার বিকেলে ‘পুনর্কল্পনায় সুলতানার স্বপ্ন’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এ উদ্যোগে সহযোগিতা করেছে লাইব্রেরি উইদাউট বর্ডারস এবং অ্যালিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনেসকো বাংলাদেশের হেড অব অফিস সুজান ভাইজ।

‎উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলাকেন্দ্রের শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান জানান, শিল্পীদের সঙ্গে আলাপের পর তাদের সামনে উন্মুক্তভাবে বিষয়গুলো রাখা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ‘সুলতানার স্বপ্ন’কে আজকের সময়ের চোখে দেখা। তিনি বলেন, ‘শিল্পীদের নিজেদের ভাবনার জায়গা ছিল পুরোপুরি উন্মুক্ত। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ধন্যবাদ এই অসাধারণ জায়গাটির জন্য।’

‎প্রদর্শনীর কিউরেটর শার্মিলী রহমান বলেন, ‘শিল্পীদের প্রথমে “সুলতানার স্বপ্ন” বইটি পড়তে দেওয়া হয়েছিল, এরপর তাঁরা নিজেদের ভাবনা ও ব্যাখ্যাকে কাজে প্রকাশ করেছেন, এবং এই শিল্পীরা এই কাজে তাঁদের শতভাগ দিয়েছেন।’

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইউনেসকো বাংলাদেশের হেড অব অফিস সুজান ভাইজ। ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর

সম্পর্কিত নিবন্ধ