অভিনেতা আসরানির মৃত্যুর খবর কেন গোপন রাখল পরিবার?
Published: 21st, October 2025 GMT
ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি মারা গেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। গতকাল গোপনে সান্তাক্রুজ শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
ভার্সেটাইল এই অভিনেতা বেশ কিছু চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন। চার দিন আগে ভারতীয় আরোগ্য নিধি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। জয়পুরের বাসিন্দা আসরানির মৃত্যুর খবর তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর প্রকাশ করে পরিবার।
আরো পড়ুন:
ধর্মের জন্য অভিনয়কে বিদায়: বিয়ে করে সমালোচনার মুখে জাইরা
মা হলেন পরিণীতি চোপড়া
আসরানির ব্যক্তিগত সহকারী বাবু ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে বলেন, “আসরানি সাহেবকে চার দিন আগে জুহুর ভারতীয় আরোগ্য নিধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, তার ফুসফুসে পানি জমেছিল। ২০ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান। তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।”
এভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার কারণ ব্যাখ্যা করে বাবু বলেন, “আসরানি সাহেব সবসময় চেয়েছিলেন শান্তিতে বিদায় নিতে। তিনি তার স্ত্রী মঞ্জুকে বলেছিলেন, তার মৃত্যুকে যেন কোনো বড় ইভেন্টে পরিণত না করা হয়। তাই পরিবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরই মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে।”
পরিবারের পক্ষ থেকে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি একটি প্রার্থনা সভার পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বাবু।
কমেডি অভিনয়ে আসরানির অবদান অপরিসীম। কয়েক দশকের ক্যারিয়ারে হিন্দি সিনেমাকে আরসানি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য স্মরণীয় চরিত্র এবং দর্শকদের হৃদয়ে তৈরি করেছেন বিশেষ জায়গা।
অভিনেতা আসরানির ক্যারিয়ার ছিল বহুমাত্রিক ও দীর্ঘস্থায়ী। গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ে ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে একজন কমেডি ও পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে হিন্দি সিনেমার অনেক বড় বড় চলচ্চিত্রের অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠেছিলেন এই অভিনেতা।
সত্তরের দশক ছিল আসরানির সোনালি যুগ। এই সময়ে ‘মেরে আপনে’, ‘কোশিশ’, ‘বাওয়ার্চি’, ‘পরিচয়’, ‘অভিমান’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ছোটি সি বাত’ এর মতো ক্ল্যাসিক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুপারহিট ‘শোলে’ সিনেমায় কারাগারের অদ্ভুত জেলারের ভূমিকায় অভিনয় করে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। এই চরিত্র তাকে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
৮৪ বছর বয়সেও অভিনয় করেছেন আসরানি। গত কয়েক বছরে ‘বান্টি আউর বাবিল টু’, ‘নন স্টপ ধামাল’, ‘ড্রিম গার্ল টু’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘হাইওয়ান’ ও ‘ভূত বাংলা’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন এই অভিনেতা। দুটো সিনেমাই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আসর ন র কর ছ ন পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
স্পিরিট পানে ৭ মৃত্যু: কবর থেকে তোলা হলো চার মরদেহ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়।
যাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদরের পিরোজখালি গ্রামের নবীছউদ্দিনের ছেলে লাল্টু হোসেন, খেজুরা গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে সেলিম, নফরকান্দি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে খেদের আলী এবং শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই
আরো পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ২ দিনে ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির জানান, আদালতের নির্দেশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় কয়েকজন বিষাক্ত স্পিরিট পান করেন। এরপর একে একে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, মারা যাওয়াদের মধ্যে চারজনকে গোপনে দাফন করেন পরিবারের সদস্যরা। আদালতের নির্দেশে আজ ওই চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
মারা যাওয়া সাতজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নফরকান্তি গ্রামের পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক খেদের আলী, খেজুরা হাসপাতাল পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম, পিরোজখালি স্কুলপাড়ার ভ্যানচালক লালটু হোসেন, শংকরচন্দ্র মাঝেরপাড়ার শ্রমিক মোহাম্মদ শহীদ, ডিঙ্গেদহ টাওয়ারপাড়ার মিল শ্রমিক মোহাম্মদ সামির, ডিঙ্গেদহ এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার শ্রমিক সরদার মোহাম্মদ লালটু এবং হায়াত আলী (৪৫)।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ